সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে বনমানুষের (Primate) তুলনা! এমনই অভিযোগ ফেসবুকের (Facebook) বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় জুকেরবার্গের সংস্থার এআই। ‘টপিক রেকমেন্ডেশন’ ফিচারটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার তরফ থেকে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ভুলটি ‘একেবারেই অগ্রহণীয়’।
ঠিক কী হয়েছিল? গত বছরের ২০ জুন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য ডেইলি মেইল’-এর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া করার পর পুলিশকে ডাকছেন। এক ইউজার ওই ভিডিও দেখার সময় তাঁর কাছে ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয় বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয় ‘বনমানুষদের দেখতে হলে ভিডিও দেখুন’। এই ফিচারের কাজই ইউজারের মন বুঝে তাঁর পছন্দমতো ভিডিওর উল্লেখ করা।
আর এখানেই বেঁধেছে বিতর্ক। ওই ভিডিওয় কোনও বানর, শিম্পাঞ্জি, গরিলা জাতীয় প্রাণীদের দেখা যায়নি। কী করে ফেসবুকের এআই ওই ভিডিওটিকে বনমানুষের ভিডিওর সঙ্গে তুলনা করে বসল। ফেসবুকের প্রাক্তন কনটেন্ট ডিজাইন ম্যানেজার ডার্সি গ্রুভস ওই সুপারিশের স্ক্রিনশট শেয়ার করে মন্তব্য করেছেন, ”এই ‘কিপ সিয়িং প্রম্পটকে একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না. এটা মারাত্মক ভুল।” সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকেই গর্জে ওঠেন স্ক্রিনশটটি দেখে।
স্বাভাবিক ভাবেই এমন অভিযোগে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ফেসবুককে। শুক্রবার ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে তারা এই ফিচারটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে পুরো বিষয়টির জন্য দুঃখপ্রকাশও করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি’র প্রশ্নের উত্তরে ফেসবুকের তরফে বলা হয়েছে, ”যাঁরা এই আপত্তিকর সুপারিশ দেখেছেন তাঁদের সকলের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি।”
এর আগেও ফেসবুকের ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ ফিচার নিয়েও নানা বিতর্ক হয়েছে। প্রশ্ন তুলেছেন বহু আইনজীবীরাও। তবে কেবল ফেসবুক নয়, গুগলও গবেষণা করছে এই ফিচার নিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.