সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সংবিধানের অবমাননা করেছে টুইটার এবং মেটা (ফেসবুকের বর্তমান নাম)। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে এই দুই সোশ্য়াল জায়ান্টের বিরুদ্ধে সরব হল কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্ত মন্ত্রকের তরফে। যেখানে বলা হয়েছে, বছর তিনেক আগে আইনজীবী সঞ্জয় হেজের টুইটার অ্য়াকাউন্ডটি সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল। যা সংবিধান বিরুদ্ধ। ভারতীয় সংবিধানে প্রত্যেকের বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু টুইটার (Twitter) তার উলটো পথে হেঁটে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছিল বলে দাবি কেন্দ্রে। তবে ২০১৯ সালে হেজকে নিয়ে যে বক্তব্য পেশ করা হয়েছিল, কেন্দ্রের বর্তমান অবস্থান তার ঠিক উলটো। সেবার বলা হয়েছিল, হেজের বিষয়টি টুইটারই সামলাবে।
গত মাসেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মেটা (Meta) ও টুইটারকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ইউজারদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার ক্ষেত্রে ভারতীয় আইন মানতে হবে। তাঁদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড কিংবা কোনও পোস্ট সরিয়ে ফেলার আগে ইউজারকে সে বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। তবে কোনও পোস্ট সন্ত্রাস ছড়ালে অথবা ধর্ষণের হুমকি দিলে, তার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই ফেসবুক ও টুইটার আইন অমান্য করছে। আর তাতেই অসম্মান করা হচ্ছে ভারতীয় সংবিধানকে।
উল্লেখ্য, ভারতে ব্যবসা করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলিকে ভারতের আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। যা ফেসবুক শুরুতে মেনে নিলেও বিতর্কে জড়ায় টুইটার। তবে হাজারো বিতর্কের পর টুইটার সব শর্ত মেনেও নেয়। কিন্তু এলন মাস্ক (Elon Mask) টুইটার কিনে নেওয়ার পর অনেকেই মনে করছে, বাক স্বাধীনতার সংজ্ঞা বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারত ফের কী পদক্ষেপ করে, সেটাই লাখ টাকার সওয়াল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.