সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে টানা প্রায় ৩ দিন ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে অনেক কিছুই। তবে এই মুহূর্তে যা নিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে, তা হল জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোন। শুক্রবার সিবিআই জেরা চলাকালীন নিজের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনই তিনি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। সেই পুকুর (Pond) ছেঁচে একটি ফোন উদ্ধার হলেও, আরেকটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কার্যত চিরুনি তল্লাশি চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতটা সময় জলের নিচে থাকার পরও মোবাইলটির কার্যকারিতা কতটা থাকবে? এ বিষয়ে নানা জনের নানা মত। দ্বিধাবিভক্ত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও।
জীবনকৃষ্ণ দাসের দ্বিতীয় ফোনটি উদ্ধার হলে তার মধ্যেকার তথ্য কতটা হাতে পাবেন তদন্তকারীরা? সেই ভাবনার মাঝে ইতিমধ্যেই একজন বিশেষজ্ঞকে ডেকে পাঠিয়েছেন বড়ঞায় সিবিআই টিম। বলা হচ্ছে, ফোনের তথ্য সুরক্ষা নির্ভর করছে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর। প্রথমত, ফোনটি অ্যাপলের (Apple) অর্থাৎ আই ফোন হলে তথ্য উদ্ধার হওয়ার আশা রয়েছে অনেকটাই। কারণ, এই ফোনের প্রযুক্তি অনেকটাই উন্নত। তাই জলে পড়ে থাকলেও তথ্য নষ্ট হয় না। আর সূত্রের খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজে আধুনিকতম মোবাইল ফোন (Mobile Phone)ব্যবহার করতেন। তাই ফোনটি পুকুরের পাঁক থেকে পাওয়া গেলেও তথ্য মুছে যাবে না বলে আশা সিবিআইয়ের।
আবার বিশেষজ্ঞদের আরেকাংশের মতে, ফোন হার্ডওয়্যার (Hardware) কতটা কাজ করবে, তার উপর নির্ভর করছে সিবিআইয়ের হাতে তথ্য আসার বিষয়টি। জলে ভিজে হার্ডওয়্যার বিকল হলে, আভ্যন্তরীণ তথ্য উদ্ধার করা কঠিন হবে। ফোনটি যদি সুইচড অফ অবস্থায় জলে ফেলা হয়, তাহলে অবশ্য সেই চিন্তা বিশেষ নেই। কিন্তু অন থাকা অবস্থায় তা জলে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ষোল আনা। তার মধ্যেকার স্লট ও ইন্টারনাল সার্কিট নষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফোন হাতে পেলেও তথ্য পাওয়ার সুযোগ কম।
সুতরাং, জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় ফোন থেকে তথ্য উদ্ধার করার বিষয়টি নিয়ে আপাতত দোলাচলে সিবিআই। সূত্রের খবর, পুকুরের পাঁকে তা ডুবে রয়েছে কি না, তা বুঝতে জেসিবি (JCB) আনা হয়েছে। পাঁক পরিষ্কার করে ফোনের খোঁজ চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.