সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যস্ত সময়, ব্যস্ত মানুষ। মুঠোফোনটা নিত্যসঙ্গী। এক মুহূর্তের জন্য সোশ্যাল আপডেট মিস করার জো নেই। তাছাড়া কখন কোন জরুরি ইমেল কিংবা মেসেজ চলে আসে কে জানে। তাই কোনওভাবেই স্মার্টফোনটিকে দূরে রাখা যাবে না! কিন্তু মুশকিল হল স্মার্টফোনেরও খাদ্যখাবার (পড়ুন চার্জ) প্রয়োজন হয়। যতই যন্ত্র হোক, এমনি তো আর চলে না। চার্জ হওয়ার জন্য মোবাইলকে সময়ও দিতে হয়।
কিন্তু এই সময়টাই বা কোথায়? ফোনে চার্জ দেওয়ার চক্করে বন্ধু-বান্ধবীদের কত আপডেট মিস হয়ে যেতে পারে, গুরুত্বপূর্ণ ফোনও তো আসতে পারে।
এই সমস্যার সমাধান কী? ভাবুন তো, আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, আর আপনার মোবাইল ফোনটি আপনাআপনি চার্জ হয়ে যাচ্ছে। তাঁর জন্য আপনাকে ফোন প্লাগে গুঁজে দিয়ে মিনিটের পর মিনিট বসে থাকতে হবে না। এই ভাবনাই এবার সত্যি হতে চলেছে। দুই ভারতীয় ছাত্র এমনই এক চার্জার আবিষ্কার করে ফেলেছেন, যাতে পায়ে হাঁটলেই মোবাইল চার্জ হয়ে যাবে। বিদ্যুতের প্লাগে জোড়ার প্রয়োজন হবে না। পাওয়ার ব্যাংকেরও প্রয়োজন নেই। দিল্লির ১৯ বছরের দুই ছাত্র মোহক ভাল্লা এবং আনন্দ গঙ্গাধরণ এমনই এক চার্জার আবিষ্কার করে ফেলেছেন। দুই পড়ুয়া জানাচ্ছেন, নকশা প্রস্তুত। এখন শুধু চার্জারটিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে যা সময় লাগে। দুই খুদে বিজ্ঞানীর দাবি, সাধারণ চার্জারের থেকেও ২০ শতাংশ কম সময় লাগবে এই চলমান চার্জারে ফোন চার্জ হতে।
কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই চার্জার? মোহক এবং আনন্দ জানাচ্ছেন, শুধু গোড়ালির কাছে এই চার্জারটি লাগিয়ে নিয়ে হাঁটলেই চার্জ হবে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন পদ্ধতিতে কাজ করে এই যন্ত্র। চার্জারের একটি অংশ ডায়নামো এবং অন্য অংশ বাফার। যন্ত্রটা রাখা হয় ঠিক গোড়ালির নিচে। হাঁটা শুরু হলে গোড়ালিতে চাপ পড়ে। গোড়ালির এই চাপ থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। সেই শক্তি ডায়নামো ঘোরাতে সাহায্য করে।ডায়নামো ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি হয়। এই বিদ্যুৎ দিয়েই চার্জ হবে মোবাইল ফোন। তবে, প্রথম তৈরি হওয়া যন্ত্রটিতে কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছে। যা মিটিয়ে নিয়ে ২-১ বছরের মধ্যেই এই চার্জার বাজারে আনা হবে বলে জানাচ্ছে দুই গবেষক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.