সৈকত মাইতি, তমলুক: নতুন এটিএম কার্ডের (ATM card) পিন জেনারেট করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন এক রেলকর্মী। এমনই অভিযোগ জানিয়ে কোলাঘাটের বাসিন্দা এক ব্যক্তি জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত ব্যক্তির নাম তারাপদ জানা। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের দেউলিয়া এলাকার বাসিন্দা। তমলুকের মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
বছর পঞ্চাশের ওই রেলকর্মী বর্তমানে খড়গপুরে রেলের গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে লাইন মেরামতির কাজে কর্মরত রয়েছেন। সেই সূত্রেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁর একটি স্যালারি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অক্টোবর মাসেই তাঁর পুরনো এটিএম কার্ডের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা। তাই নতুন একটি এটিএম কার্ড হাতে পাওয়ার জন্য তিনি তাঁর নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখায় আবেদন জানিয়েছিলেন। সেইমতো গত ৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের পক্ষ থেকে নতুন একটি এটিএম কার্ড তাঁর বাড়িতে এসে পৌঁছায়। মনের আনন্দেই সেই নতুন এটিএম কার্ডটি সঙ্গে নিয়ে মেচেদার একটি এটিএম কাউন্টারে এসে তিনি তাঁর পিন নাম্বার জেনারেট করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বিফল হওয়ায় সেই সময়ে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। সরল বিশ্বাসে নতুন এটিএম কার্ড-সহ ব্যাংক থেকে পাঠানো সমস্ত তথ্য ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেন তিনি।
অভিযোগ, চোখের পলকের মধ্যেই প্রতারকেরা এই সাহায্য করার বাহানায় তারাপদবাবুর নতুন এটিএম কার্ডটি হাতিয়ে নেয়। এবং সেই স্থানে নিমাই সিট নামের অন্য একজনের এটিএম কার্ড তাঁর হাতে ধরিয়ে চম্পট দেয়। আর এই ঘটনার মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। এমন অবস্থায় প্রতারিত হয়েছেন বুঝে কোলাঘাট থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন রেলের ওই গ্রুপ ডি কর্মী।
তারাপদবাবু অভিযোগ করে বলেন, ”মেচেদার পরিচিত একটি এটিএম কাউন্টারে আমি আমার নতুন এটিএমটির পিন জেনারেট করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে সময়ে কোনও সিকিউরিটি গার্ড না থাকায় আমি নিজেই পিন জেনারেলের জন্য চেষ্টা করি। আর সেই সুযোগেই আমাকে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি এভাবে প্রতারণা করেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.