নব্যেন্দু হাজরা: ট্যাক্সির ধাঁচেই কি এবার মিটারে চলবে পরিবেশ বান্ধব ই-অটো (E-Auto)! পরিবহণ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সেই সম্ভাবনাই কিন্তু উজ্জ্বল হচ্ছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, নয়া বৈদ্যুতিন অটোতে কোনও রুট পারমিট লাগবে না। যেখান থেকে খুশি যাত্রী তুলতে পারবে সে। শুধুমাত্র আরটিও (RTO) থেকে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে গাড়িটির।
অর্থাৎ এখন যে সমস্ত রুটে অটো চলে সেখানেও ঢুকে পড়ার সম্ভবনা থেকে যাচ্ছে নয়া অটোর। যাতে বাধতে পারে পুরনোর সঙ্গে নতুন অটোর অশান্তি। তা এড়াতেই পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা মনে করছেন, তিন চাকার এই ই-যান এবার কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ হিসাবে রাস্তায় ঘুরতে পারে। অন্য একাধিক রাজ্যে যেভাবে চলে। অটোর নির্দিষ্ট একটা ভাড়া বেধে দেবে সরকার। সেক্ষেত্রে ট্যাক্সির যাত্রী কমতে পারে।
[আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশের মেধাতালিকায় ২৭২ জন, ৯৯.৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম কোচবিহারের অদিশা]
পরিবহণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বৈদ্যুতিন যানে মানুষের উৎসাহ বাড়াতে সরকারের তরফে নানা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এটাও তারই অঙ্গ। এবিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। তবে যে রুটগুলোয় এখন অটো চলে সেখানে এই ই-অটো চালানো যাবে না বলে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ কলকাতা এবং জেলায় থাকা অটোরুটে নতুন ই-গাড়ি ঢোকানো যাবে না।
কিন্তু সে তো গেল বিজ্ঞপ্তির কথা। পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা বলছেন, নয়া নীতিতে বৈদ্যুতিন অটো নামলে পুরনো অটোর সঙ্গে বিবাদ অবশ্যম্ভাবী। কারণ নব্যদের রুটের ঠিক থাকবে না, যে কোনও রুটে ঢুকে পড়বে, তাতেই বাধবে অশান্তি। এই ঝামেলা একমাত্র এড়ানো যেতে পারে যদি ই-অটো কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ হিসাবে চলে!
[আরও পড়ুন: আগামী বছর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসেই উচ্চমাধ্যমিক, পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানালেন সংসদ সভাপতি]
প্রসঙ্গত, এর আগে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস রাস্তায় নামিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর। এবার ই-অটো নামিয়ে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরতলি এলাকায় দূষণ কমাতে তৎপর রাজ্য সরকার। বিগত দিনে অটো থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। ই-অটো রাস্তায় নামালে তা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে পরিবহণ দপ্তর। অপেক্ষার প্রহর গুনছেন যাত্রীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.