সৈকত মাইতি, তমলুক: ফেসবুকে অনলাইন গেমের ফাঁদে পড়ে খোয়া গেল ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। প্রতারিত বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী। তবে মাস তিনেকের মধ্যেই ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাইবার থানা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষাদলের একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী ভাস্কর পাণ্ডে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার অন্তর্গত শুশিন্দা এলাকার বাসিন্দা তিনি। তবে চাকরির সূত্রে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার অন্তর্গত আলদাবাদ এলাকায় থাকেন। গত ১৩ই এপ্রিল ফেসবুকের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপন তাঁর নজরে আসে। যেখানে অ্যাপের লিংক ডাউনলোডের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ লাভ করতে গিয়ে প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন। জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে এই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন খেলায় ৮০ টাকা ২০০ টাকা পান তিনি। এভাবেই ১০০০ টাকা দিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ২০২০ টাকা রিফান্ডের অফার পান ভাস্করবাবু। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাকার অংক কয়েক গুণ বাড়তে পারে। আর বেশি পাওয়ার আশায় এই অনলাইন গেমের মধ্যে একটু একটু করে জড়িয়ে পড়েন ওই ব্যাংক কর্মী। ধাপে ধাপে ২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা নানান অছিলায় হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু কথামতো এই টাকার ম্যাচুরিটি হিসেবে ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৫০ টাকা না পেয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝে তমলুক সাইবার থানার দারস্থ হন ওই ব্যাংক কর্মী। ঘটনার তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২০০ টাকা ফেরাতে সক্ষম হয়েছে তমলুক সাইবার থানার দুঁদে পুলিশ আধিকারিকেরা। ব্যাংক কর্মী ভাস্কর পাণ্ডে অভিযোগ করেছেন, প্রতারিত হতে হবে তা বুঝতে পারেননি তিনি। প্রতারকেরা যেভাবে সুকৌশলে ইংরেজি ভাষায় টেলিগ্রাম, আবার কখনও whatsapp কলের মাধ্যমেই যোগাযোগ রেখে চলছিল। তাতে কোনওভাবেই বোঝার উপায় ছিল না যে একটু একটু করে প্রতারণার জালটা ছড়ানো হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু টাকা অ্যাকাউন্টে ফিরে আসায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। এ বিষয়ে তমলুক সাইবার থানার পুলিশ আধিকারিক বিপ্লব হালদার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এ পর্যন্ত এই প্রতারণার ঘটনায় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ফেরানো সম্ভব হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.