বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: সরকারি জায়গা দখল করে রয়েছে বাড়ির একাংশ। যদিও বাড়ির পিছনে রয়েছে যথেষ্ট জায়গা। কিন্তু বাড়ির সামনে অংশ ভেঙে ফেলা ছাড়া কী তবে কোনও উপায়ই নেই? এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিস্তর ভাবনাচিন্তা করে নয়া পদক্ষেপ নিলেন ব্যবসায়ী। যন্ত্রাংশের মাধ্যমে অক্ষত অবস্থায় সরিয়ে ফেলা হল বাড়িটি।
পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে দেখেন সরকারি জায়গার মধ্যে রয়েছে নদিয়ার নবদ্বীপের বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষনগর এলাকার ব্যবসায়ী নরোত্তম ঘোষের তিনতলা বাড়ি। লাগোয়া পাঁচিল এবং গ্যারেজ। সুভাষনগর এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়িটি ১ হাজার ৬০০ স্কোয়্যার ফুটের। কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছে বাড়িটি। রয়েছে বাড়ির লাগোয়া পাঁচিল, দোকানঘর এবং গ্যারেজ। জায়গা ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয় পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে। প্রথমে কিছুটা গড়িমসি করেন ওই ব্যবসায়ী। তারপর তাঁর গোটা বাড়িটি অক্ষত অবস্থায় বেশ কিছুটা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি খবর দেন হরিয়ানার একটি সংস্থাকে। খবর পেয়ে ওই সংস্থার লোকজন এসে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় যন্ত্রের সাহায্যে ওই তিনতলা বাড়িটি প্রায় ৩০ ফুট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ওই সংস্থার কর্মী অরুণ কুমার রাজ বলেন,”বাড়িটি অক্ষত অবস্থায় যন্ত্রের সাহায্যে প্রায় ৩০ ফুট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের সংস্থার ৯জন কর্মচারীর প্রায় একমাস সময় লাগবে। খরচ পড়বে ৫ লক্ষ টাকা।” তিনি আরও জানান, এর আগে তারা নদিয়ায় একইভাবে ৪টি বাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছেন।
বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল দেবনাথ বলেন, “আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় মাধাইপুর রোড থেকে বাবলারি বাসস্ট্যান্ড হয়ে রামচন্দ্রপুর ঘোষপাড়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি এতদিন ছিল ১০ ফুট। এবার রাস্তাটি ২৪ ফুট চওড়া করা হচ্ছে। সেই রাস্তা তৈরির কাজের আগে মাপজোকের সময় দেখা যায়, সরকারি জায়গার খানিকটা জুড়ে আছে ওই ব্যবসায়ীর বসতবাড়িটি। পূর্ত দপ্তর ওই ব্যবসায়ীকে জায়গা ফাঁকা করতে নির্দেশ দেয়। যদিও ওই ব্যবসায়ী তাঁর বাড়িটি না ভেঙে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়িটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.