মাসুদ আহমেদ: দীর্ঘ প্রতীক্ষায় অবশেষে ইতি। দেড় বছর পরে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ফের চালু হল 4G মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। ২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। পরে তা চালু হলেও মিলছিল 2G পরিষেবা। অবশেষে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল সেখানকার ইন্টারনেট পরিষেবা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের মুখপাত্র রোহিত কানসল টুইট করে 4G’র প্রত্যাবর্তনের কথা ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি তাঁর টুইটারে লেখেন, ”4G মুবারক। অবশেষে ২০১৯ সালের আগস্টের পর এই প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরে চালু হল 4G মোবাইল পরিষেবা। না হওয়ার থেকে দেরিতে হওয়া ভাল।”
গত বছরের আগস্টেই অবশ্য কাশ্মীরের গান্দেরওয়াল ও জম্মুর উধমপুরে 4G পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বাকি অঞ্চলের কোথাও তা চালু করা হয়নি। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হতে দেখা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, গণতান্ত্রিক দেশে এইভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখাটা কতটা শোভনীয়? গত বছর কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ সংক্রান্ত একটি মামলায় খোদ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছিল, শিক্ষা, ধর্ম এবং স্বাধীনতার মতো ইন্টারনেট পরিষেবাও নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। যার অর্থ, ইন্টারনেট বন্ধ করা মানে মৌলিক অধিকার খর্ব করা।
প্রসঙ্গত, কেবল জম্মু ও কাশ্মীর নয়, দেশের যে কোনও প্রান্তে রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনও কারণে কোনও রকম উত্তেজনা বা দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই ওই এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। শুধু কেন্দ্র নয়, বিভিন্ন রাজ্য সরকারও ব্যবহার করেছে ইন্টারনেট বন্ধের অস্ত্র। কেবল এদেশেই নয়, সম্প্রতি আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্পপন্থীদের হামলার ঘটনার সময়ও সাময়িকভাবে এলাকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.