রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: এবার দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2022) বেড়ানোর জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন হতে পারে ডুয়ার্স। শুধু জঙ্গল সাফারি নয়। পর্যটকদের মন কাড়বে নতুন ধরনের খাবারও। বহু মানুষই বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় পদ চেখে দেখতে চান। এবার সেই সুযোগ মিলবে সবুজে মোড়া ডুয়ার্সে।
ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে জঙ্গল সাফারি বা হাতি সাফারির সঙ্গে এবার পুজোয় থাকছে জনজাতিদের বিভিন্ন খাবার-দাবারও। জলদাপাড়ার বিভিন্ন ইকো ট্যুরিজম সোসাইটি ও হোম স্টে মালিকদের সৌজন্যে এবার পর্যটকদের পাতে পড়তে পারে ছ্যাকা, সিদল, শামুক জাতীয় জনজাতিদের বিভিন্ন খাবারের উপকরণ। চাইলে মিলতে পারে রেশম কিট পোকার ভাজাও। যা মেচ সম্প্রদায়ের মানুষের অন্যতম সুস্বাদু খাবার।
আসলে ডুয়ার্সকে ‘মিনি ভারত’ বলেন অনেকে। এখানে ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষা ও জনগোষ্ঠীর মানুষদের পাওয়া যায়। আর সেই সব বিভিন্ন জনজাতির মানুষদের জীবনযাপন খাওয়া-দাওয়া পর্যটকদের কাছে বরাবরই একটা আকর্ষণের বিষয়। পর্যটকদের সেই চাহিদা মেটাতেই এবার পুজোয় জনজাতিদের বিভিন্ন খাবার পর্যটকদের পাতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন জলদাপাড়ার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
শুকনো মাছ ও কচুর ডগা দিয়ে তৈরি হয় ‘সিদল’। যা রাভা ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের অন্যতম সুস্বাদু খাবার। আবার ভাতের মাড়ের সঙ্গে আতপ চালের গুড়ো মিশিয়ে শুকনো মাছ ও খাবার সোডা বা কচি কলাপাতা পোড়ানো ছাই দিয়ে তৈরি হয় ‘’। আর নদীর পাড় থেকে তুলে আনা জ্যান্ত শামুক খোসা ছাড়িয়ে জম্পেশ করে রান্না করে তৈরি করা হয় ‘ঘুঙ্গি’।
চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমল রাভা জানান, “এসব এখানকার বিভিন্ন জনজাতিদের মানুষরা খান। এবার আমরা এই সব খাবার পর্যটকদের পাতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। জলদাপাড়ার সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হোম স্টেতে এই সব খাবার তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, এই সব খাবার তৈরি করতে পারেন, বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের বয়স্ক রাঁধুনিদের খুজে বের করে, তাঁদের দিয়ে এই সব খাবার রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে জলদাপাড়ায় বেড়াতে এসে এবার জঙ্গল সাফারি, জনজাতি নাচের সঙ্গে মিলবে জনজাতীদের খাবারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.