সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাঁজা রুখতে পারে করোনা সংক্রমণ! এর মধ্যে থাকা এক ধরণের স্ট্রেইনই এই মারণ ভাইরাসকে জব্দ করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? তবে জানিয়ে রাখি, একদল বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই পেশ করেছে, গোটা বিশ্বের কাছে।
মারণ ভাইরাসকে জব্দ করতে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরাই প্রায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ময়দানে। দিন যায়, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানও ক্রমশই বেড়েই চলেছে, কিন্তু ভ্যাকসিনের আশায় সারা পৃথিবীই এখনও অপেক্ষারত। বিশ্বের এপ্রান্ত-ওপ্রান্ত থেকে করোনা রোখার ওষুধের খবর এলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি এযাবৎকাল। তবে এই পরিস্থিতির মাঝেই কানাডার এক গবেষকদল চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তাঁদের দাবি, গাঁজার মধ্যে থাকা এক ধরণের স্ট্রেইনের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, যাতে কিনা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
কানাডার লেথব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন যে এপ্রিল মাসে করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ১৩টি গাঁজা গাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সিবিডি ছিল, যেগুলি বৈজ্ঞানিকদের মতে ACE2 অর্থাৎ যেখান থেকে করোনাভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে, সেই পথকে প্রভাবিত করতে সাহায্য করে। ওই গবেষকদলেরই একজন ওলগা কোভালচুক বললেন, “বিষয়টি নজরে আসতেই হতবাক হয়ে যাই প্রথমটায় আমরা।”
সংশ্লিষ্ট গবেষকদলের মতে, গাঁজা সেবন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ৭০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এমনকী করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যও কাজে আসতে পারে গাঁজার ওই শক্তিশালী স্ট্রেইন। এছাড়াও মুখের মাধ্যমে যে সমস্ত ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারে, তাদেরও রুখে দিতে পারে গাঁজা। মাউথ ওয়াশ এবং গার্গেল করার নানাবিধ পণ্য-দ্রব্যের মধ্যে গাঁজার শক্তিশালী স্ট্রেইন ব্যবহার করে তার ইতিবাচক ফলও ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। কানাডার এই গবেষকদলই সেই পরীক্ষা করে দেখিয়েছিলেন পূর্বে।
তবে দোকান থেকে যে কোনও ধরনের গাঁজা কিনলেই যে তা করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে, এটা ভাবা কিন্তু ভুল! এপ্রসঙ্গে ওলগা কোভালচুক জানান, যে সমস্ত গাঁজায় অতিরিক্ত পরিমাণে প্রদাহনাশক সিবিডি (Cannabidiol ) থাকে, কিন্তু টিএইচসি’র (Tetrahydrocannabinol) পরিমাণ খুবই কম, সেগুলিই একমাত্র করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কাজে আসতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.