Advertisement
Advertisement
ফেসবুক

ফেক নিউজ রুখতে মাঠে নামল ফেসবুক, শুরু তৎপরতা

প্রযুক্তির সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের রায় নিয়ে নেটদুনিয়ায় ফেক নিউজের রমরমায় লাগাম পরানোর চেষ্টা করা হবে।

Social media giant Facebook declares war on fake news
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 28, 2019 4:55 pm
  • Updated:May 28, 2019 4:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেক নিউজ রুখতে মাঠে নামল সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রযুক্তির সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের রায় নিয়ে নেটদুনিয়ায় ফেক নিউজের রমরমায় লাগাম পরানোর চেষ্টা করা হবে।

[সাবধান, ভুয়ো খবর ছড়ানোর আগে ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং সম্পর্কে জেনে রাখুন]

Advertisement

ইতিমধ্যেই ফেক নিউজ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক। ভুল ও বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানোয় একাধিক অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করেছে ফেসবুক। এছাড়াও উসকানিমূলক বার্তা যে পেজ বা প্রোফাইলগুলি দিচ্ছে তাদের নিউজ ফিড আটকে দিচ্ছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের নিজেদের পছন্দের খবর বা নিউজ ফিড বেঁছে নেওয়ার স্বাধীনতাও দিয়েছে ফেসবুক। যে কোনও খবর না পোস্টের নিচে ‘রিলেটেড আর্টিকল’-এ খবরটির সত্যতা সম্পর্কে অন্যদের মতামত তুলে ধরা হচ্ছে। ফলে এক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সম্ভাবনা কম থাকছে।  

উল্লেখ্য, ২০১৫, ২০১৬, এবং ২০১৮-তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ব্রেক্সিট গণভোট এবং মেক্সিকোর সাধারণ নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের তথ্য চুরি করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি সংস্থা ফেসবুক থেকেই ভোটারদের তথ্য চুরি করেছিল বলে অভিযোগ। ভারতের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাঁর পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগেভাগেই কড়া পদক্ষেপ করে রাখছে সংস্থাটি। ফেসবুক সূত্রের খবর, সংস্থার তিনটি ওয়ার রুমে কাজ করছে মোট ৪০টি দল। এছাড়া ওয়ার রুম গুলিতে আলাদা করে তথ্য সুরক্ষার জন্য রাখা হয়েছে ৩ হাজার কর্মীকে। দরকার পড়লেই এই দলের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠবেন। এছাড়া ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও আলাদা দল তৈরি করা হয়েছে।    

আসলে, ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রবণতাও অনেক বেড়েছে। আর এই ভুয়ো খবরগুলি নির্বাচনকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা ওরা হচ্ছিল। লোকসভার আগে তাই ফেক নিউজ রুখতে সক্রিয় হয়েছিল ফেসবুক। কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু ফেসবুক পেজ বন্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে, ভারতের ক্ষেত্রে ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করা যে খুব কঠিন তা স্বীকার করে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, ভারতের ভাষার বৈচিত্র। তবে কর্তৃপক্ষের তরফে এক কর্তার দাবি, “আগেই বুঝতে পারি ভারতের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাষায় ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন কাজ। তাই আমরা আলাদা আলাদা ভাষার অনুবাদ যন্ত্রের পিছনে সব থেকে বেশি টাকা খরচ করেছি। কোনও পোস্টের ভুয়ো বা আপত্তিকর অংশ নিয়ন্ত্রণে আমরা আগের তুলনায় আমরা অনেক শক্তিশালী।”                

[ফোনে ট্রু-কলার রয়েছে? জানেন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সমস্ত সেভ নম্বর!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement