সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: আচমকা মন ভাল করতে ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলেন সিকিম। কিংবা যাওয়ার কথা ছিল অন্য কোথাও। শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বাতিল করে গাড়ি ঘুরিয়ে গ্যাংটকের দিকে রওনা দিলেন। এমন খেয়ালি পর্যটক এর সংখ্যা কম নয়। কিন্তু যাঁরা এভাবে ঘুরতে ভালবাসেন আপাতত তাদের তেমন পরিকল্পনা মুলতুবি রাখতে হবে। ভবঘুরে পর্যটকদের জন্য আপাতত কোনও রকম জায়গা হবে না সিকিমে।
শনিবার পর্যটন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সিকিম সরকারের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই হতে চলেছে। করোনা অতিমারীর জেরে কয়েক মাস ধরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে সিকিমকে। তবে আর বেশি দিন এভাবে থাকা যাবে না বুঝতে পেরেই সিকিমের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক হাতিয়ার পর্যটনকে খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠকের পর প্রাথমিক খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে পর্যটন খুললেও কি করা যাবে এবং কি করা যাবে না। তার মধ্যে উঠে এসেছে পর্যটকদের পরিষ্কার এবং সঠিক তথ্য সমস্ত জমা দিয়ে তারপরে আপাতত শৈলরাজ্যে প্রবেশ করার ছাড়পত্র মিলবে। পাশাপাশি আপাতত বিদেশি পর্যটকদের জন্য সিকিম দরজা খুলছে না। শুধুমাত্র দেশীয় পর্যটকদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে আগাম বুকিং এর ভিত্তিতে। বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা ও ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে প্যাকেজ টুর অথবা নির্দিষ্ট পর্যটন কেন্দ্র আগে থেকে বুকিং করে রাখলে তবেই মিলবে রাজ্যে প্রবেশের ছাড়পত্র। সেই সঙ্গে প্রতিটি পর্যটককে করোনা নেগেটিভ শংসাপত্র সঙ্গে আনা এবং প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় তার প্রতিলিপি জমা দিতে রাজি থাকতে হবে। আপাতত গোটা রাজ্যে আড়াই হাজার ঘর পর্যটকদের জন্য খোলা হবে। পর্যটক এর সংখ্যা রাজ্যে প্রতিদিন দ্বিগুণ হিসেবে পাঁচ হাজার পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হবে। যে কোনও হোটেল বা হোমস্টে-তে মোট থাকার ঘরের অর্ধেক পর্যন্ত প্রতিদিন অতিথি নেওয়া যাবে।
তবে শনিবারও অবশ্য পর্যটন খোলার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্রাভেলস ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ কনজারভেশন অফ ট্যুরিজম এর সম্পাদক রাজ বসু জানিয়েছেন শর্তসাপেক্ষে হলেও পর্যটন খোলার দিকেই এগোচ্ছে সিকিম সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.