ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতা মানেই সেখানে থাকে ভালবাসার গল্প। আর ভালবাসা ও যৌনতা যেখানে পাশাপাশি থাকে, সেখানেই সহাবস্থান করে অর্গ্যাজম। চরম সুখ মিললে মহিলাদের যে অর্গ্যাজম হবেই, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই অর্গ্যাজমের ঠেলায় ঘুম ছুটেছে নেটিজেনদের! তবে চর্চার বিষয় শুধু এখানে অর্গ্যাজম নয়। রয়েছে একটি সমীক্ষার গল্প।
সম্প্রতি কন্ডোম প্রস্তুতকারক সংস্থা Durex একটি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। আর সেই ফলাফলের কথা প্রকাশ্যে আসতেই যত গন্ডগোল। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলাই সঙ্গমে সম্পূর্ণ তৃপ্ত হয় নন। দেখা গিয়েছে যৌনতার সময় অর্গ্যাজম হয় না তাঁদের। কিন্তু তাই বলে এদেশে মিলনের হার যে কম তা নয়। বিছানায় আদর মহিলারা উপভোগ করেন ঠিকই, কিন্তু যৌন তৃপ্তি আসে না।
India, we need to talk. #OrgasmInequality pic.twitter.com/gReNrFfSNM
— Durex India (@DurexIndia) May 28, 2019
[ আরও পড়ুন: যৌন সঙ্গী জোটাতে না পারলে আপনি বিকলাঙ্গ! WHO-এর নির্দেশিকায় বিতর্ক ]
কোম্পানি এই নিয়ে ‘Orgasminequality’ বলে একটি হ্যাশট্যাগ চালু করে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এই হ্যাশট্যাগ। বলাই বাহুল্য যাদের মাধ্যমে এটি ভাইরাল হয়, তারা মহিলা। কিন্তু মহিলাদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ পুরুষকুল। তাদের মতে, এই সমীক্ষা অপমান করেছে ছেলেদের। মহিলারা যৌনতার সময় চরম সুখ পায় না, তা একেবারেই বাতুলতা। এই নিয়ে ‘Orgasminequality’-এর পালটা একটি হ্যাশট্যাগ চালু করে তারা। ‘boycottdurex’। এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রচুর টুইট করা হয়।
তবে পুরুষদের এমন প্রতিবাদ যে শুধু পৌরুষে আঘাত লাগার কারণে, তা কিন্তু নয়। অনেকে এর পিছনে মহিলাদের দোষও খুঁজেছেন। কেউ কেউ বলছেন, যৌনতৃপ্তি যখন আসছে না, তার মানে মহিলারা মন থেকে ওই সম্পর্কে জড়িত নন। তাই অর্গ্যাজম হয় না। শরীরের সঙ্গে যদি মনের মেলবন্ধনও থাকে, তবে অর্গ্যাজম হতে বাধ্য। তা যখন হয় না, তখন পুরুষদের দোষ দিয়ে লাভ কী? এর পিছনে যুক্তি দিয়েছে মহিলারাও। বলেছে, নিজেদের দোষের কথা স্বীকার করতে নারাজ পুরুষরা। তাই মহিলাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
তবে এ ওর ঘাড়ে, ও তার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আখেরে কি কোনও লাভ আছে? তার চেয়ে ভালবাসায় মজে তৃপ্তি খোঁজার চেষ্টা করাই ভাল নয় কি?
[ আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টা অন্তর মিলনেই সর্বাধিক সুখ, দাবি বিশেষজ্ঞের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.