সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনা মেঘে বজ্রপাত! কুড়ি বছরের তরুণী নিকোল মুরের জীবনে সত্যি হয়ে উঠেছিল এই প্রবাদই। পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলন না করেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আট বছরের কন্যাসন্তানের জন্মের পিছনে রয়েছে এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা।
কিন্তু কীভাবে এমনটা সম্ভব? আসলে ছোটবেলা থেকেই ‘ভ্যাজিনিসমাস’ রয়েছে ইংল্যান্ডের (UK) হ্যাম্পসায়ারের বাসিন্দা নিকোলের। এই বিশেষ শারীরিক পরিস্থিতিতে যোনির পর্দার পেশি খুবই শক্ত থাকে। ফলে সেখানে পুরুষ যৌনাঙ্গ প্রবেশ করানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। কৈশোর থেকেই নিজের এই পরিস্থিতির কথা জানতেন তিনি। ক্রমে প্রেমেও পড়েন তিনি। কিন্তু আঠেরো বছর বয়সে সেই সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক মিলনের সময় আসল সমস্যাটা সামনে আসে। পুরুষ সঙ্গী আবিষ্কার করেন, সঙ্গম করতে গিয়ে তাঁর মনে হচ্ছিল তিনি কোনও দেওয়ালকে ধাক্কা দিচ্ছেন। নিকোল মুরের কথায়, ”আমরা বুঝতে পারি, ব্যাপারটা অসম্ভব। বুঝতেই পারছিলাম না এটা ঠিক কী হচ্ছে।”
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘনিষ্ঠ হওয়ার অন্য উপায় অবলম্বন করেন মুর ও তাঁর সঙ্গী। পরবর্তী সময়ে যৌন মিলনের পথে আর হাঁটেননি তাঁরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও কুড়ি বছর বয়সে মুর আবিষ্কার করেন তিনি গর্ভধারণ করেছেন। সেই সময় সত্যিই যেন তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। এমনকী ডাক্তারদেরও মুর বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না যে, তিনি কোনও শারীরিক মিলন ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। পরে অবশ্য বিষয়টা পরিষ্কার হতে শুরু করে। ধরা পড়ে তাঁর ‘ভ্যাজিনিসমাস’ রয়েছে। সেই কারণেই তাঁর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু পুরুষাঙ্গ প্রবেশ না করিয়েও কী করে সম্ভব হল গর্ভধারণ? আসলে যোনির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বীর্য পড়লে তা থেকেও অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সম্ভব। সম্ভবত সেভাবেই মাতৃত্বের পথে পা বাড়িয়েছিলেন মুর। নিজেরই অজান্তে।
পরে যথাসময়ে তিনি তাঁর কন্যা টিলির জন্ম দেন। তার বয়স এখন আট। টিলির বাবা আর মুরের সঙ্গে থাকেন না। মুর এখনও ‘ভ্যাজিনিসমাস’ থেকে মুক্তি পাননি। তবে পরিস্থিতি বদলেছে। তিনি জানাচ্ছেন, ”আমি এখনও অনেক কিছুই পারি না। যেমন ট্যাম্পুন ব্যবহার করা। কিন্তু আমি ভাগ্যবান এখন আমার যৌন জীবন একেবারে স্বাভাবিক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.