সংবাদ প্রতদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগে থেকে চেনা-জানা থাক আর নাই থাক। বিয়ের পর সবকিছু বদলে যায়। খুব একটা ভুল নয়। বিয়ের পর প্রথম দুটো মাস অন্যরকম ভাবে কাটে সব দম্পতিরই। মানসিক থেকে শারীরিক, সবরকম সম্পর্কেই আসে নতুনত্ব। যদি আগে থেকে প্রেম থাকে, তাহলেও এই পরিবর্তন আসতে বাধ্য। কারণ, বিয়ের আগে সম্পর্ক থাকে শুধু দু’জনের মধ্যে। কিন্তু বিয়ের পর সেই সম্পর্কে এসে পড়ে বাবা-মা আর অন্য আত্মীয়রা। তাই বিয়ের পর প্রথম দু’মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত মেয়েদের পক্ষে। কারণ, তাঁদেরই তো নতুন পরিবেশের মধ্যে গিয়ে পড়তে হয়।
১) প্রথমেই যেটা জানা যায়, তা হল অভ্যাস। আগে থাকতে সম্পর্ক থাকলে একে অপরের ভাল অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জানা থাকে। কিন্তু খারাপ অভ্যাস? তা জানা যায় বিয়ের পরই। আর যদি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয়, তা হলে তো কথাই নেই। ভাল অভ্যাসগুলোও এই সময়ই সামনে আসে। পাশাপাশি খারাপ অভ্যাসগুলিও জানা যায়। এক্ষেত্রে চাপ আরও বেশি। কারণ এই দুই রকম অভ্যাসের মধ্যে ব্যালেন্স করে চলা বেশ কঠিন কাজ। বিয়ে করে আসার পর নতুন বাড়ির কী নিয়ম, সকালে তারা কোনও পুজো করে কিনা, ঘুম থেকে ওঠা, শৌচাগারে যাওয়া সব বুঝে নিতে হয় খুব কম সময়ের মধ্যেই। এক্ষেত্রে নিজের পছন্দ বা মত কোনওটাই ঠিক খাটে না।
[ ৪৫-এর পর অনিয়মিত মিলন? এই উপায়েই রঙিন রাখুন দাম্পত্য ]
২) ঝগড়া প্রত্যেক দম্পতির মধ্যে হয়। কিন্তু বিয়ের পর যে ঝগড়া হয়, তার ঝাঁঝ থাকে বেশ বেশি। যে কোনও সমস্যায় শুরু হয়ে যায় তুমুল ঝামেলা। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলেরা এই দাম্পত্য সমস্যার কথা তার বাবা মায়ের সঙ্গে শেয়ার করে। স্বাভাবিকভাবেই তখন মেয়েদের মাথা গরম হয়ে যায় বেশি। কিন্তু এসবই অভ্যাসের ফসল। তাই এই সময়টা মেয়েদের একটু বুঝে চলতে হয়। সম্পর্ককে সময় দিতে হয়। তাহলেই ধীরে ধীরে এর সমাধান হয়ে যায়।
৩) দু’জন মানুষ আলাদা। ফলে দু’জনের জীবনযাত্রাও আলাদা। অনেকসময়ই দেখা যায় ছেলেটি হয়তো রেস্তরাঁয় যেতে পছন্দ করে, তা আবার মেয়েটির পছন্দ হয় না। তার মনে হয় এসব শুধু টাকার শ্রাদ্ধ। অন্যদিকে, হয়তো দেখা গেল মেয়েটি কেনাকাটা করতে ভালবাসে। ছেলেটি আবার তার ঘোর বিরোধী। এসব ক্ষেত্রে যদি দু’জনেই অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হন, তাহলে নিজেদের ইচ্ছাপূরণ করুন। আর তা না হলে মুখোমুখি বসে আলোচনা করুন। কারওর পছন্দকেই গলা টিপে মেরে ফেলা উচিত নয়।
৪) এ তো গেল সমস্যার কথা। তাই বলে কি নবদম্পতির মধ্যে প্রেম থাকে না? অবশ্যই থাকে। বিয়ে মানেই সম্পর্ককে নতুন নাম দেওয়া। আর স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এই নতুন স্টেটাস উপভোগ করেন ভালই। বন্ধু থেকে পরিবার, সবাই শুভেচ্ছা জানায়। শুনতে খারাপ লাগে না। বরং মনটা খুশিই হয়ে ওঠে। হানিমুনে গিয়ে বা অন্য কোনও সময় সদ্য বিয়ের পরের কিছু মুহূর্ত মনে পড়লে ভাল লাগে।
৫) বিয়ের পর ব্যস্ত হয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। ঘর আর বাইরে একসঙ্গে সামলে নিজের জন্য সময় সেভাবে থাকে না। তাই অনেকে এই চক্করে পড়ে নিজের ভাললাগা মন্দলাগাগুলো ভুলতে শুরু করে। স্বামী আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে আর তাদের মন জোগাতে গিয়ে নিজের কথা ভুলতে শুরু করে মেয়েরা। তখন বিয়ের আগের কথা মনে পড়ে। মনে হয়, আগেই কত ভাল ছিল। বিয়েটা না করলেই বোধহয় ভাল হত। এমন চলতে থাকলে একদিন হতাশা আসে। এক্ষেত্রে দায়িত্বটা কিন্তু ছেলেদেরই নিতে হয়। স্ত্রী-র জীবনে যাতে এমন পরিস্থিতি না আসে, সেটুকু দেখার দায়িত্ব তো স্বামীরই।
[ সম্পর্ক ভাঙছে? শেষ হওয়ার আগে এভাবে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.