ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনদাসী। কথাটা শুনলেই মধ্যযুগের কথা মনে পড়তে পারে। কিন্তু খোদ মার্কিন (US) প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে যদি তা জুড়ে যায়, তাহলে বিস্ময়ের যে শেষ থাকে না তা বলাই যায়। অভিযোগ, সান ফ্রান্সিসকোর ‘ট্রেডশিফট’ নামের ওই সংস্থার প্রাক্তন সিইও নাকি তাঁর এক মহিলা সহকারীকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন (Physical abuse) করেছেন। এবং তা করেছেন রীতিমতো চুক্তিতে সই করিয়েই!
এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ক্রিশ্চিয়ান ল্যাং নামের অভিযুক্ত ব্যক্তি আগেই তাঁর চাকরি হারিয়েছেন। নানা ধরনের দুর্ব্যবহারের অভিযোগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার তাঁর সেই প্রাক্তন সহকারী জেন ডো মামলা দায়ের করেছেন।
ঠিক কী অভিযোগ? জেনের দাবি, চাকরিতে ঢোকার পর পরই ৯ পাতার এক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করানো হয় তাঁকে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, তিনি যে কোনও সময় যৌনতার জন্য ‘লভ্য’! জেন জানিয়েছেন, রীতিমতো ‘যৌন আতঙ্কে’র সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। এর মধ্যে শারীরিক যন্ত্রণা দেওয়া থেকে শরীরে মূত্রত্যাগ কিংবা কোনও সামগ্রী নিজের যৌনাঙ্গে ঢোকানো- বাদ যায়নি কিছুই! এমনকী এও বলা ছিল, কোনওভাবেই ওই তরুণীর ওজন ৫৮ থেকে ৭০ কেজির বাইরে হতে পারবে না। এবং তাঁর উপরে হওয়া কোনও অত্যাচারেই রাগ বা হতাশা ব্যক্ত করা যাবে না। এমনই নানা বিকৃত কার্যকলাপের শিকার তাঁকে হতে হয়েছিল বলে দাবি জেনের।
যদিও ল্যাং এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও যৌনতার বিষয়টি উড়িয়ে দেননি তিনি। জানিয়েছেন, জেনের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক থাকলেও যা হয়েছে তা উভয়ের সম্মতিতেই। সমস্ত অভিযোগ ‘মনগড়া’ বলেই দাবি অভিযুক্ত ব্যক্তির। পুরো ঘটনাটিতেই শোরগোল প্রযুক্তি দুনিয়ায়। ক্ষমতার অপব্যবহারের এমন অভিযোগ সত্যি হলে কড়া শাস্তি দেওয়া হোক ল্যাংকে, উঠছে দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.