সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তান-সহ ডেটিং! কথাটায় অনেকের আপত্তি থাকলেও বাস্তব প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা কিন্তু খুব সাধারণ একটা বিষয়। আমাদের চারপাশেই এরকম কত সম্পর্ক আমরা গড়ে উঠতে দেখি। আবার অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়ে সম্পর্কের চোরাবালিতে হারিয়ে যেতেও দেখা যায়। কিন্তু ওই, ভালবাসা তো আর বাগ মানে না, তাই না! যাঁর প্রেমে পড়েছেন, তিনি হয়তো কারোর মা কিংবা বাবা, ডিভোর্সি হতে পারেন আবার উইডোও হতে পারেন। একা হাতেই নিজের জীবনের রাশ টানছেন। কিন্তু সন্তান আছে মানেই তাতে নিরাশ হওয়ার কিচ্ছু নেই! বরং এই সম্পর্কে কিছু জিনিস মেনে চললে জীবনের লম্বা সফরে আপনি শান্তিতে থাকতে পারেন কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে সুখী হতে পারেন।
যাঁকে মনে ধরেছে সেই মানুষটি হতেই পারেন ১ বা ২ সন্তানের বাবা-মা। কিন্তু তাতে ডেট করতে বাঁধা কোথায়? প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে মাঝেমধ্যেই ইচ্ছে করবে। এরপর রেস্তরাঁ, কফিশপে ডেট, লং ড্রাইভ…। কিন্তু এসবের মাঝে তাঁর সন্তানকে তো অগ্রাহ্য করলে চলবে না! তিনিও তা চাইবেন না। নিজেরা একান্তে সময় কাটাতেই পারেন, কিন্তু আপনি যএ তাঁর সন্তানকে আপনাদের মাঝে পছন্দ করছেন না, এননটা যেন না হয়! কাজেই হবু সঙ্গীর সন্তানকে আপন করে নেওয়াই তাঁর মন জয় করার প্রথম পদক্ষেপ আপনার ক্ষেত্রে।
যদি লং-টার্ম সম্পর্কে যেতে চান, তাহলে আপনার সঙ্গীর পাশাপাশি কিন্তু তাঁর সন্তানেরও পছন্দ-অপছন্দ জানাটা জরুরী। সঙ্গীর মতোই তাঁর সন্তানের সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব হতে পারেন আপনি, কিন্তু উত্তেজনায় খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলবেন না। ধীরে সুস্থে তার ব্যাপারে জানুন, বুঝুন। হতে পারে প্রথম দেখাতেই বাচ্চাটির আপনাকে পছন্দ নাই বা হতে পারে। সেভাবে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। কারণ শুধুমাত্র প্রেমিক বা স্বামী নয়, সম্পর্ক গড়ালেই আপনাকে পিতৃত্ব বা মাতৃত্বও সামলাতে হবে। তাই, আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, সেই দায়িত্ব নিতে আপনি তৈরি তো!
ডেটিংয়ে সন্তানকে নিয়ে আসলে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। ডেটিংয়ের জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সন্তানকে প্রায়োরিটি দিন। কোনও কিড-ফ্রেন্ডলি ক্যাফে কিংবা পার্কে যেতে পারেন। একসঙ্গে বেড়াতে গেলেও এমন জায়গা বাছুন যেখানে সঙ্গীর সন্তান মজা করতে পারে।
সঙ্গীকে ভালবাসার অর্থ তাঁর ছেলে-মেয়েকেও সমানভাবে ভালবাসা। আপনার নিজের সন্তানটি হলে যেরকম আদরে রাখতেন, ঠিক সেটাই। আর এটা সচেতন সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই সম্ভব। আপনার সঙ্গী যদি তাঁর প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কারণে যোগাযোগ রাখেন, তাহলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না। এব্যাপারে আগে থেকেই দু’জনের স্পষ্ট ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়। আর ভবিষ্যতে আপনিও যদি সন্তান চান, তাহলেও সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে নিন। কারণ, দু’জনের সিদ্ধান্তের মর্যাদাতেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.