সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে একঘেয়ে জীবন। সিনেমা দেখতে যাওয়া নেই, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা নেই। নেই পার্কে বসে প্রেম করার উপায়ও। গৃহবন্দি অবস্থায় সারাদিনের সঙ্গী শুধু স্মার্টফোন। আর একঘেয়েমি কাটাতে এই স্মার্টফোন থেকেই পর্নসাইটে ঢুঁ মারছেন ভারতীয়রা। আগে যে পর্নসাইট দেখার আগ্রহ ছিল না এ দেশের, এমনটা নয়। কিন্তু ২১ দিনের লকডাউনে সেই আসক্তি আকাশ ছুঁলো। পর্ন দেখার প্রবণতায় বিশ্বের বাকি সব দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে কামসূত্রের ভারত।
রিপোর্ট বলছে, মার্চে লকডাউন ঘোষণার খানিক আগে থেকেই পর্নসাইটে সময় কাটানোর দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছিল ভারতের যুবপ্রজন্ম। তখনই আসক্তির হার ২০ শতাংশ বাড়ে। আর ঘরবন্দি থাকতে থাকতে সেই হার পৌঁছেছে ৯৫ শতাংশতে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। এ দেশে আসক্তির গ্রাফ ঠিক এতটাই উর্ধ্বমুখী। এমনটা হওয়ার অবশ্য কারণও আছে। প্রাপ্তবয়স্কদের একঘেয়েমি দূর করতে বিশ্বজুড়ে নিজেদের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ফ্রি করে দিয়েছে পর্নহাব। ফলে সেই সাইটে মানুষের যাতায়াত বেড়েছে কয়েক গুণ। এছাড়াও তো অন্যান্য নানা পর্নসাইট রয়েছে যেখানে বিনামূল্যেই নীল ছবি দেখা যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হল এক্ষেত্রে অন্য দেশকে কীভাবে হার মানাল ভারত? কারণ এ দেশে তো বেশকিছু টেলিকম সংস্থা অ্যাডাল্ট সাইট ব্লক করে দিয়েছে। তাতে কী? ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। যে টেলিকম সংস্থার কানেকশনে এই পরিষেবা চালু আছে, সেখান থেকেই পর্নসাইট খুলছে মানুষ। তাছাড়া মিরর ডোমেনের মাধ্যমেও পর্নোগ্রাফি সাইটে পৌঁছনো সম্ভব। তাই একঘেয়ে জীবনে এ বাধা কোনও বাধাই নয়। পর্নহাবের প্রকাশিত গ্রাফ থেকেও সে ছবি স্পষ্ট।
জনপ্রিয় সাইটটি জানাচ্ছে, করোনাকে বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষণার পর থেকেই নীল ছবিতে বেড়েছে আসক্তি। লকডাউন ঘোষণার পর ফ্রান্সে ৪০ শতাংশ বেড়েছে পর্ন দেখার প্রবণতা। জার্মানি ও বিধ্বস্ত ইটালিতেও উর্ধ্বমুখী গ্রাফ। দুই দেশে আসক্তি বেড়েছে ২৫ ও ৫৫ শতাংশ। স্পেনে পর্নসাইটের ট্রাফিক বাড়ে ৬৫ শতাংশ। রাশিয়ায় ধাপে ধাপে লকডাউন হয়। যাতে পর্ন দেখার আগ্রহ বাড়ে ৫৬ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ায় অবশ্য সম্পূর্ণ লকডাউন না হওয়ায় সেখানকার গ্রাফটা তেমন চোখে পড়ার মতো হয়। মার্কিন মুলুকে নানা বাধানিষেধ সত্ত্বেও বেড়েছে পর্নের আসক্তি। কিন্তু এ ব্যাপারে গোটা বিশ্বকে হার মানিয়েছে ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.