ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ব্যস্ততা। ইঁদুরদৌড়ে শামিল হতে গিয়ে ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছি আমরা। একাকীত্বের জেরে ঘিরছে বিষাদ। শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন। মানসিক অবসাদের শিকার কচিকাঁচারাও। আত্মহননের (Suicide) পথও বেছে নিচ্ছে অনেকেই।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রতি ৪২ মিনিটে একজন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। একদিনে সংখ্যাটা ৩৪। করোনাকালে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। গৃহবন্দি হয়ে গিয়েছিলেন দেশবাসী। সেই সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন পড়ুয়ারা। করোনাকালে ১২ হাজার ৫০০ পড়ুয়া আত্মঘাতী হন বলেই দাবি ওই রিপোর্টের। ২০২০ সালে তিরিশ বছরের কমপক্ষে ৬০ হাজার যুবক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি।
মনোবিদরা বলছেন, একজন অভিভাবকের সামান্য কয়েকটি পদক্ষেপেই রোখা যেতে পারে সন্তানের। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন লক্ষ্মণগুলি দেখে বুঝবেন আপনার সন্তান আত্মহত্যাপ্রবণ:
যৌন হেনস্তা: বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় কিশোর-কিশোরীরা যৌন হেনস্তার শিকার হয়। তারা ভয়ে বাবা-মায়ের কাছে সেকথা বলতে পারে না। তার ফলে ক্রমশ একা হয়ে যেতে থাকে। নিজের প্রতি ঘৃণা করতে শুরু করে। একসময় আত্মহত্যার পথও বেছে নেয় তারা।
হীনমন্যতা: অনেক সময় কোনও পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল হলে হীনমন্যতায় ভোগে পড়ুয়ারা। তার ফলে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় কেউ কেউ।
কটাক্ষ: কেউ একটু মোটা। আবার কেউ বেঁটে। যেকোনও পড়ুয়াই নিজের মতো। তা সত্ত্বেও দেহের গঠন নিয়ে অনেক সময় মশকরা নিতে পারে না বহু পড়ুয়া। তার ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অনেকেই।
প্রিয়জনের মৃত্যু: বহুক্ষেত্রেই পড়ুয়াদের আত্মহত্যার কারণ হিসাবে প্রিয়জনের মৃত্যু প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানসিক অবসাদে ভোগে তারা। তার জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রছাত্রীরা।
সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকরা বন্ধুর মতো মেলামেশা করুন। সন্তানের মনখারাপের উপর আরও একটু গুরুত্ব দিন। তাহলেই মিটবে সমস্যা। মনখারাপের মেঘ সরে উঠবে হাসির ঝিলিক। আত্মহত্যার পথ ছেড়ে ফের স্বাভাবিক স্রোতে ভাসতে থাকবে পড়ুয়ারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.