ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, বিয়ের পর পরিবার বড় হয়। বাবা-মায়ের আদরের মেয়েরা জীবনে পান শ্বশুর, শাশুড়িকে। আবার তেমনই নিজের স্ত্রীর মা, বাবাকেও কাছের মানুষ বলে ভাবতে শুরু করেন ছেলেরা। কিন্তু কাছের মানুষ বলেই কী তাঁরা সব কিছুতে নাক গলাতে পারেন? মানে দাম্পত্য জীবনের খুঁটিনাটিতে শ্বশুর, শাশুড়ির কথা বলা কোন দম্পতিই ঠিক ভালভাবে নেন না। আর তা নিয়ে বেশিরভাগ বাড়িতেই লেগে থাকে অশান্তি। ক্রমশই পুত্রবধূ কিংবা জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ির দূরত্ব বাড়তে থাকে।
চূড়ান্ত পরিণতি হিসাবে হয় পরিবারে ভাঙন কিংবা বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে বাধ্য হন দম্পতিরা। কিন্তু সম্পর্ক শেষ করে দিলেই তো চলবে না। কারণ, সম্পর্ক ভাঙতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু ভাবুন তো তিল তিল করে সম্পর্ক গড়ে তুলতে কতই না সময় লাগে। তাই হাল ছাড়বেন না। পরিবর্তে কয়েকটি কৌশলে আপনার দাম্পত্য জীবনে শ্বশুর-শাশুড়ির নাক গলানোর বদভ্যাসকে বশে রাখুন।
নতুন সংসার। রঙিন চতুর্দিক। দু’জনের চোখে কত আশা। কত স্বপ্ন। এই সময়ে সকলেই চান একটু নিজেদের মতো সময় কাটিয়ে জীবন উপভোগ করতে। যেমন ধরুন ব্যস্ত সময় থেকে দু-এক ঘণ্টা বাঁচিয়ে রেস্তরাঁয় গিয়ে একটু খাওয়াদাওয়া করলেন। কিন্তু তাতেও আপনার শাশুড়ির আপত্তি রয়েছে তাই তো? তিনি মনে মনে ভাবছেন, রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়ার ফলে হয়তো তাঁর ছেলের না জানি কত টাকাই খরচ হয়ে যাচ্ছে। কিংবা তিনি ভাবতে পারেন হয়তো তাঁর ছেলে আগের মতো আর মাকে সময় দিতে চান না। শাশুড়ি এমন আচরণ করলে তাঁকে বুঝিয়ে বলুন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে খানিকটা উষ্ণতা বজায় রাখতে মাঝে মধ্যে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার মতো অল্প সময় কাটানো যে বেশ প্রয়োজন, তাঁকে তা জানান।
ধরুন স্বামীর সঙ্গে আপনার কোনও কারণে মনোমালিন্য হয়েছে। আপনারা ঝগড়াঝাটি করছেন। তাতেও আপনার শাশুড়ি কী নাক গলান? তাহলে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কথা বলুন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা মানুষেরই কিছু গণ্ডি যে অতিক্রম করা উচিত নয়, তা শাশুড়িকে জানান। আর যদি আপনার শাশুড়ি সে বিষয়টি একেবারেই বোঝার চেষ্টা না করেন, তবে এবার থেকে স্বামীর সঙ্গে কোনও বিষয়ে আলোচনা করার ক্ষেত্রে ঘরের ভিতর করার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন সব সমস্যা অনায়াসেই মিটে গিয়েছে।
শ্বশুর, শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ থাকলে মনে রাখবেন তা আপনার সবচেয়ে বেশি মানসিকভাবে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সুস্থ দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামীর পাশাপাশি শ্বশুর, শাশুড়িকেও আপন করে নিন। হয়ে উঠুন তাঁদের বৃদ্ধ বয়সের অবলম্বন। মনোমালিন্য হলেও অভিমান নিয়ে ঘরের কোণে বসে থাকবেন না। কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিন। একসঙ্গে বাঁচুন। তাহলেই দেখবেন দিব্যি বিনা বাধায় এগিয়ে চলেছে জীবন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.