সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার ঝমঝমে বৃষ্টি। স্বাভাবিকভাবেই ঘরে ঘরে ডাল-ঝোলের ছুটি। হেঁশেল থেকে ভেসে আসছে খিচুড়ির গন্ধ। আর খিচুড়ি মানেই সঙ্গে তেলেভাজার সমাহার। আলুভাজা, বেগুনি, পিঁয়াজি, ডিম, ইলিশমাছ ভাজা, কী নেই সেই তালিকায়। শুধু কি লাঞ্চ? বিকেলের জলখাবারের পাতেও মুড়ি-তেলেভাজার চাহিদা তুঙ্গে। চিন্তিত চিকিৎসকরা। বলছেন, তেলেভাজা শুধু কু-পুষ্টিকরই নয়, সঙ্গে যৌন-স্বাস্থ্যের পক্ষেও হানিকর।
[ আরও পড়ুন: ডিভোর্সের মূল কারণ কী? খুঁজে বের করলেন বিশেষজ্ঞরা ]
মেঘলা দিনে কবিরা যতই বলুন, একলা ঘরে না থেকে মন বিশেষ কারুর কাছে যেতে চায়, বিজ্ঞান তা মানে না। গবেষকদের মতে, এমনিতেই মেঘলা দিনে সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোনের ষড়যন্ত্রে যৌন চাহিদা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তার উপর তেলেভাজার কু-প্রভাব। সব মিলিয়ে মহিলা-পুরুষের যৌন জীবনে বিপর্যয় দেখা দেয়। তেলের গুণমান যত ভালই হোক না কেন, আগুনের তাপে তা সম্পৃক্ত ফ্যাটি আসিডে পরিণত হয়। যা সহজপাচ্য তো নয়ই, বরং গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে। সঙ্গে অপাচ্য তেল রক্তবাহে জমা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। তেলেভাজার এই কুপ্রভাব কম-বেশি সকলের জানা। কিন্তু যৌন জীবনে তেলেভাজার ক্ষতি সম্পর্কে সাধারণের মধ্যে কোনও ধারণা নেই। তাই ফ্লোরিডার চিকিৎসক ডগলাস হেইস জানান, তেলেভাজার ট্রান্স-ফ্যাট পুরুষ শরীরে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমায়, ফলে পুরুষের কামাসক্তি কমতে থাকে। যদিও এই ট্রান্স-ফ্যাটি অ্যাসিড স্পার্ম কাউন্ট অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। যা আখেরে যৌন জীবনে বিপরীত প্রভাব বিস্তার করে।
[ আরও পড়ুন: নির্ঝঞ্ঝাট সংসার চান? বিয়ের এসব মুহূর্তের ছবি ভুলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন না ]
চিকিৎসকরা বলছেন, অত্যধিক তেলেভাজা খাওয়ায় দেহের ওজন হুহু করে বাড়তে থাকে। যা পরোক্ষে যৌন জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে ট্রান্স-ফ্যাট অর্থাৎ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তবাহে জমা হতে থাকায় বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সংবহন কম হয়। ফলে সেই সব অঙ্গে রক্ত ও রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি ও অক্সিজেন কম পরিমাণে পৌঁছায়। উলটো দিকে সেই সব অঙ্গ থেকে বিপাকজাত বর্জও রক্তের মাধ্যমে দেহ থেকে অপসারিত হতে পারে না। শিথিল হয়ে পড়ে মহিলা ও পুরুষের যৌনাঙ্গ। যার প্রভাব পড়ে মিলন মুহূর্তে। যদিও তেলেভাজা বেশি খেতে নিষেধ করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের মশলার স্বাদ যৌন জীবনকে সুস্বাদু করে তোলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.