সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিওয়ালি (Diwali 2023) মানেই আলোর উৎসব। আনন্দের উৎসব। কিন্তু এই আনন্দই নিরানন্দে পরিণত হয় শব্দবাজির তাণ্ডবে। বিধি-নিষেধ থাকে, কিন্তু তা কেউ মানেন, কেউ আবার মানার প্রয়োজন বোধ করেন না। শব্দবাজির যন্ত্রণা নিজে বুঝুন, বাড়ির শিশুদেরও বোঝান। যাতে তারা শব্দবাজির জন্য বায়না না করে। ভাবছেন কীভাবে সম্ভব? সম্ভব। ভালোভাবে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারলে ছোটরা কিন্তু সমস্ত কথার গুরুত্ব বোঝে। কেন দিওয়ালি বা দীপাবলি পালিত হয় তা আপনার বাড়ির খুদে সদস্যটিকে জানান।
অন্ধকার মুছে জীবনে আলোর প্রবেশকেই মূলত দিওয়ালি কিংবা দীপাবলি হিসাবে ধরা হয়। বাঙালির দীপাবলি, সারা দেশে দিওয়ালি হিসেবে পালিত হয়। রামায়ণ অনুযায়ী ১৪ বছর বনবাসের পর সীতা এবং লক্ষ্মণকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন রাম। সেদিন দীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল অযোধ্যা। সেই রীতি মেনে আজও পালিত হয় দীপাবলি বা দিওয়ালি। তাই এদিনটা প্রদীপ জ্বালিয়েই পালন করা উচিত।
প্রদীপের স্নিগ্ধ আলো মনকে জুড়িয়ে দেয়। মাটির প্রদীপ কেনা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে স্থানীয় ও দুস্থ শিল্পীরা লাভবান হবেন। এই তথ্য শিশুদের জানালে তাঁরা উদ্বুদ্ধ হবে।
বাজি পরিবেশকে ভীষণভাবে দূষিত করে। শব্দদূষণ তো হয়ই পাশাপাশি বাতাসকেও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটা শিশুকে বোঝান। প্রয়োজনে পরিসংখ্যান ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া বাজিতে নানা ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। তা থেকে শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। শিশুদের সে বিষয়ে সাবধান করা জরুরি।
বাজি কিনতে অনেকেই বেশি খানিকটা টাকা খরচ করেন। এই টাকা অন্য কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে তাও খুদে সদস্যদের জানান। আনন্দের উৎসব দিওয়ালি। বাজি পোড়ানোর বদলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো করেও কাটানো যেতে পারে। আর তা খুদেরা বেশ উপভোগ করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.