সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল বন্ধ। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করারও উপায় নেই। বাইরে খেলাধুলো? নৈব নৈব চ! অতঃপর বাড়িই পরিণত হয়েছে প্লে-গ্রাউন্ডে। কিন্তু সেই একই মোবাইলে গেম কিংবা গাড়ি নিয়ে খেলতে কি আর ভাল লাগে? তাই হোম কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় অভিভাবকদের দেখে নানা নতুন নতুন কাজ নিয়ে ফেলছে খুদেরা। ২১ দিনের লকডাউন যেন এক ঝটকায় অনেকখানি বড় করে তুলেছে এই শিশুদেরও।
দেশজুড়ে লকডাউন। তাই বাড়ির মানুষগুলিকেই ঘরের সব কাজ করতে হচ্ছে। রান্না-বান্না, ঘর পরিষ্কার সবই। এমন সময় কেউ যদি এগিয়ে এসে খানিকটা কাজের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়, তার চেয়ে সুখের আর কী হতে পারে। বাবা-মায়ের মনের এই সুপ্ত ইচ্ছেখানা যেন ধরে ফেলেছে পিকু-কীর্তি-গোগোলের মতো খুদেরা। আর সেই জন্যই ছোট্ট ছোট্ট হাতে বড়দের কাজ করছে বেশ মনোযোগ সহকারে। বকা-ঝকাও খেতে হচ্ছে না। সুতরাং ‘মউজা হি মউজা’।
তবে শুধু বাড়ির কাজ করলেই তো চলবে না। লেখাপড়া, আঁকা-ঝোকাও তো সমান তালে চালিয়ে যেতে হবে! করোনা বিদেয় নিলে তো স্কুলও খুলবে। সে কথাও মাঝেমধ্যে মনে করিয়ে দিচ্ছেন মা-বাবা। আর তখনই ‘গুড গার্ল’ হয়ে যাচ্ছে ইশা, ছইরা। কেউ বসছে গান চর্চায় তো কেউ আঁকার খাতা টেনে বের করছে। এককথায় এমন খুদে বাড়িতে থাকলে আর যাই হোক, একঘেয়ে লাগার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
করোনা তাল কেটেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে। বিশ্বজোড়া আতঙ্ক তৈরি করেছে। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ নিয়েছে। কিন্তু কয়েনের উলটো পিঠের মতোই মানুষকে দিয়েওছে কিছু। পরিবারের মধ্যে বেড়েছে আত্মীয়তা, ভালবাসা। কমেছে সমাজের দূষণ। কর্মব্যস্ত অভিভাবকরাও লকডাউনে সন্তানদের সঙ্গে অনেকখানি সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। আর এই খুদেরা মা-বাবাকে কাছে পেয়ে ২১ দিনেই বেঁচে নিয়ে অনেকটা জীবন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.