Advertisement
Advertisement
মা-বাবার ডিভোর্স, সন্তান

বিচ্ছেদের পর কেমন করে সামলাবেন সন্তানকে, রইল টিপস

দাম্পত্য জীবন সুখের নয় বলে, সন্তানকে অবহেলা করবেন না৷

After Divorce how to tackle your child, here are tips
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 22, 2019 9:11 pm
  • Updated:April 22, 2019 9:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার দাম্পত্য জীবন সুখের না-ই হতে পারে। রোজ রোজ ঝগড়া, অশান্তি লেগেই রয়েছে। এদিকে সন্তানও একটু একটু করে বেড়ে উঠছে। মাঝেমধ্যেই কেমন যেন গুটিয়ে যায়। ওর আচরণের জন্য মাঝেমধ্যে স্কুল থেকেও আসছে অভিযোগ। ভেবে দেখুন তো, কোথাও আপনাদের দাম্পত্য কলহের ভোগান্তিটা ও ভুগছে না তো? শিশুদের মন খুবই সংবেদনশীল। সাদা কাগজের মতো। ওদের মনে যা দিয়েই আঁচড় কাটবেন, তাতেই দাগ হয়ে যাবে। বেশিরভাগ মনোবিদদের মতে, শৈশবে বাবা-মায়ের ঝগড়া দেখে বড় হওয়া বাচ্চাদের মনে বিয়ে নিয়ে একটা ভয় তৈরি হয়ে যায়। কিংবা অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় আরও অন্যান্য অনেক রকমের সমস্যা। কেউ একা থাকতে ভালবাসে, কেউ বা আবার নিজেকে গুটিয়ে রাখে সব কিছু থেকে। আদতে মানুষের মতো মানুষই হয়ে উঠতে পারে না তারা অনেকসময়ে। বড়রা যেভাবে বোঝে বা বহিঃপ্রকাশ করে, তার তুলনায় ওদের বহিঃপ্রকাশের ধরনটা আলাদা। ওরা বলতে না পেরে গুটিয়ে যায়। চুপ করে যায়। কেউ বা আবার সামান্য বিষয়েই রেগে যায়, নিয়ন্ত্রণ থাকে না স্নায়ুর উপর।

[আরও পড়ুন : খাটো পুরুষে আপত্তি? গুণ জানলে প্রেমে পড়তে বাধ্য আপনি]

Advertisement

তাই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ওর সামনে নিজেদের মধ্যেকার দাম্পত্য কলহ না আনাটাই উচিত বলে মনে করেন মনোবিদদের একাংশ। কিন্তু, তাই বলে শুধু মাত্র সন্তানদের কথা ভেবে আপনাকে কেউ পুরো দুনিয়া থেকে গুটিয়ে থাকতে বলছে না। কিংবা ও যদি একটু বড় হয়েও আপনাদের সম্পর্কের এরকম পরিস্থিতি দেখে সেটাতেও দুঃখ পাবে। এবং কোথাও গিয়ে নিজেকে দোষী বলে মনে করবে। তাই মনোবিদদের মতে, শিশুকে অন্ধকারে রেখে কিছু করা যাবে না। যাতে আপনাদের সম্পর্কের ভাঙন ওকে অথৈ জলে না ফেলে দেয়, সেটার জন্য সন্তানকে প্রস্তুত করুন একটু একটু করে। কিংবা হয়তো আপনাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে বা আলাদা থাকছেন, সেক্ষেত্রে সন্তানের সামনে ওর ভালর জন্য মেনে চলুন কিছু জিনিস।

[আরও পড়ুন : দাম্পত্য সম্পর্কে নাক গলাচ্ছেন স্বামী বা স্ত্রীর প্রাক্তন! সামলাবেন কীভাবে?]

প্রথমত, সন্তানটা দুজনেরই তাই দু’জনেই ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করুন। তবে ঠান্ডা মাথায়। আপনাদের দু’জন দু’জনের প্রতি তিক্ততাটা কোন বিষয়ে এবং কেন এগুলো সন্তানের সামনে রেগে গিয়ে যেন ঘুণাক্ষরেও প্রকাশ না পায়। এতে সম্পর্ক নিয়ে ওর একটা ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে। ওর বোঝার বয়স হলে একটু একটু করে ওর সঙ্গে আলোচনা করুন। আপনার ভাল লাগা, খারাপ লাগাগুলো ও নিশ্চয়ই বুঝবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, সেটা হল মা-বাবা কেউই যেন একে অপরের সম্পর্কে বাজে বা খারাপ মন্তব্য করে সন্তানকে নিজের দিকে টানার চেষ্টা না করেন। দু’জনে যদি একসঙ্গে ওর সঙ্গে সপ্তাহান্তে বা কোনও অনুষ্ঠানে সময় কাটাতে না পারেন, তার জন্য ওকে আলাদা করে একটু বলে দেবেন, যে কেন আপনার জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। আলাদা করে শপিং করতে পারেন। কেউ ওকে নিয়ে ছবি দেখতে গেলেন তো কেউ ওকে নিয়ে ডিনার সেরে আসুন বাইরে থেকে। ডিভোর্সের পর কারও জীবনই কিন্তু থেমে থাকে না, কাজেই সন্তানকে তা বোঝার মতো স্পেস দিতে হবে যে তার মা-বাবা দু’জনেরই জীবনটা আলাদা। আর তাদের নিজের মতো করে বাঁচার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। একে অপরের থেকে দূরে থাকলেও সন্তানের প্রয়োজনে যে দু’জনেই রয়েছেন সেই বার্তাটাও তার কাছে পৌঁছনো জরুরি।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement