সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে চলেছে পড়ুয়ারা। এ সময় তাই মানসিক চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে সেই চাপ অনেকটাই বেড়ে যায় মা-বাবার ব্যবহারে। অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সন্তানের প্রতি প্রত্যাশা যত বেশি থাকে, ততই পরীক্ষার মুখে মা-বাবার টেনশন বাড়ে। তা আবার সন্তানের ঘাড়ে গিয়ে পড়ে। ফলে পরীক্ষার মুখে বাড়তি চাপের মুখে পড়তে হয় পড়ুয়াদের।
এর জেরেই অল্পবয়সিদের মধ্যে ক্রমাগত বাড়ছে হতাশা। আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে তারা। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী পরীক্ষার চাপ এই ধরনের হতাশার অন্যতম কারণ। এর পিছনে বাচ্চাদের প্রস্তুতির খামতিটা মুখ্য নয়। এনেকটা চাপ তাদের অজান্তেই দিয়ে ফেলেন মা-বাবারাও।
পুরো বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সম্প্রতি পদক্ষেপ করেছে ‘মিরিন্ডা’ নামে একটি নরম পানীয়র সংস্থা। একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে অল্পবয়সিরা তাদের চাপের কথা জানাচ্ছে। সেখানেই উঠে এসেছে কিশোর-কিশোরীদের মনের কথা। জানা যাচ্ছে, পরীক্ষার সময় বাবা-মা এতটা টেনশনে থাকেন যে তা দেখে ছোটরা আরও ভয় পেয়ে যায়। ভিডিও-য় এক পড়ুয়ার মুখে শোনা যাচ্ছে, পরীক্ষার চাপের জন্য নয়, সে ভয়ে আছে মা-বাবার প্রত্যাশার কথা ভেবেই। কেউ আবার অন্য কারওর সঙ্গে তার তুলনা না টানার অনুরোধ করেছে।
এ তো গেল বিজ্ঞাপনের কথা। কিন্তু এই কথা কি সত্যি হতে পারে? মনোবিদরা জানাচ্ছেন, একশোভাগ খাঁটি এ কথা। অনেকেই মনে করে থাকেন, ছোটদের হতাশা থাকে না। টিনএজাররা একা থাকলে বা মনমরা হয়ে থাকলে, শরীর খারাপ বা ঘুম কম হয়েছে ভেবে নেন মা বাবারা। কিন্তু এ কথা একদম ঠিক নয়। মনোবিদদের মতে, তিক্ত হলেও তাদের হতাশা একেবারে বাস্তব। প্রতিটি পড়ুয়াই স্কুলে বা বাইরের পৃথিবীতে নানা দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকে। কেউ কেউ তা কাটিয়ে উঠতে পারে। কেউ পারে না। এই সমস্যা জমতে জমতেই হতাশার জন্ম। এর সঙ্গে মা-বাবারা জেনে বা না জেনে নিজেদের প্রত্যাশা চাপিয়ে দেন সন্তানদের উপর। আখেরে তার প্রভাব সন্তানের লেখাপড়াতেও। সামনেই আরও এক বড় পরীক্ষা। তাই এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকারই পরমার্শ দিচ্ছেন মনোবিদরা। ঠিক কী ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারে ছোটরা? এই ভিডিও দেখলে সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন মা-বাবারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.