সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজারো বিতর্ক আছে ঠিকই। তবে এখনও সিনেমাশিল্পকে অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রাখতে সেন্সর বোর্ডেই ভরসা রাখে সরকার। কিন্তু, ফেসবুক বা হোয়াটঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ভিডিও বা উসকানি বক্তব্য করা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নজরদারি চালাবে কে? এই প্রশ্নেও বিতর্কের শেষ নেই। পরিস্থিতি এমনই, যে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে ইউজারদের কাছ থেকে নগ্ন ছবি পর্যন্ত চেয়েছে ফেসবুক! এই যখন পরিস্থিতি, তখন কার্যত উলটো পথে হাঁটল টুইটার। ইউজারদের অ্যাকাউন্ট যাচাই করার কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
[অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে চান? ফেসবুককে পাঠান আপনার নগ্ন ছবি]
সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে অন্যতম জনপ্রিয় একটি সাইট টুইটার। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ টুইটার ব্যবহার করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই হোন কিংবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই তালিকায় কে নেই! বিভিন্ন বিষয়ে টুইট করেন প্রায় সকলেই। কিন্তু, যাঁর নামে টুইটারে অ্যাকাউন্টি খোলা হয়েছে এবং যিনি সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করছেন, তাঁরা কী একই ব্যক্তি? তা যাচাই করার জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি চালু করেছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। এই পদ্ধতিটি অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন নামে পরিচিত। টুইটারে নতুন কোনও সদস্য যোগ দেওয়ার পরই, এই অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন এক্সাসাইজের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টটি যাচাই করত টুইটার কর্তৃপক্ষ। তারপর ইউজারের নামে পাশে ‘ব্লু টিক’ দিয়ে দেওয়া হত। তা থেকে বোঝা যেত, টুইটার অ্যাকাউন্টটি ‘ভেরিফায়েড’। কিন্তু, অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের এই পদ্ধতিটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।
[Jio-কে পিছনে ফেলতে এবার এক বছরের আকর্ষণীয় অফার আনল এয়ারটেল]
কিন্তু, ফেসবুক বা টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর প্রবণতা তো দিন দিন বাড়ছে। কয়েক মাসে আগে ফেসবুকের একটি পোস্ট কেন্দ্র করে এরাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাহলে হঠাৎ করে অ্যাকাউন্ট যাচাই করার পদ্ধতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত কেন নিল টুইটার কর্তৃপক্ষ? বিতর্কের সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। শ্বেতাঙ্গদের একটি বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল আমেরিকার ভার্জিনিয়া। ঘটনাচক্রে সেই মিছিলের উদ্যোক্তারা টুইটারে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। যথারীতি সেই অ্যাকাউন্টটিও যাচাই করে ‘ব্লু টিক’ চিহ্নিত করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। কোনও কোনও মহল থেকে অভিযোগ উঠছে, শ্বেতাঙ্গদের সংগঠনের অ্যাকাউন্টটিকে ‘ব্লু-টিক’ চিহ্নিত করে কার্যত তাদের দাবিকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়তি প্রচারও পেয়ে গিয়েছে সংগঠনটি।
[ফিকে হচ্ছে Jio? নয়া প্ল্যানে বাজিমাত Airtel ও Vodafone-এর]
এই বিতর্কের মুখে পড়েই অ্যাকাউন্ট যাচাই করার পদ্ধতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার তরফে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘ইউজারের পরিচয় ও গলার স্বর প্রমাণ সংগ্রহের জন্য এই ভেরিফিকেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, অনেকেই ভাবছেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে কারও দাবিকে সমর্থন করা হচ্ছে কিংবা সংশ্লিষ্ট ইউজারকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা স্বীকার করছি, আমাদের নীতির কারণেই এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই বিভ্রান্তি দূর করা প্রয়োজন। তাই আপাতত টুইটার অ্যাকাউন্টের ভেরিফিকেশন পদ্ধতিটি স্থগিত রাখা হচ্ছে।’
Verification was meant to authenticate identity & voice but it is interpreted as an endorsement or an indicator of importance. We recognize that we have created this confusion and need to resolve it. We have paused all general verifications while we work and will report back soon
— Twitter Support (@TwitterSupport) 9 November 2017
[আপডেটেড WhatsApp ডাউনলোড করেছেন? জানেন কী সর্বনাশ হতে পারে?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.