ধনরাজ ঘিসিং, দার্জিলিং: উঁচু পাহাড় আর মেঘ-রোদের লুকোচুরির ফাঁকে উড়ে বেড়ানো নীলাকাশে! মোটেই কল্পজগতে বিচরণ নয়। উত্তরবঙ্গের কার্শিয়াংয়ে বেড়াতে গেলে এমন অভিজ্ঞতা হতেই পারে প্যারা গ্লাইডিংয়ের সৌজন্যে। এবার সেই প্যারা গ্লাইডিং-ই চালু হতে চলেছে বাণিজ্যিকভাবে। জিটিএ-র যৌথ উদ্যোগে এই উড়ান পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। শনিবার জিটিএ প্রধান অনীত থাপা, সদস্য নবরাজ ছেত্রী, নুরি শেরপা, পরেশ তিরকির উপস্থিতিতে প্রথম উড়ল ৩টি প্যারা গ্লাইডার।
কার্শিয়াংয়ের (Karseong) প্যারা গ্লাইডিং বিভাগ ও জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যারা গ্লাইডিংয়ে উড়ানের সময় ৫ থেকে ১০ মিনিট। স্থায়ী হবে। ফ্লাইটের উচ্চতা হবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৪০ মিটার। প্যারা গ্লাইডারের (Para Glider) দূরত্ব হবে এক কিলোমিটার পর্যন্ত। প্যারা গ্লাইডিংয়ে প্রায় ২০টি পরীক্ষামূলক উড়ান শেষ। রবিবার অর্থাৎ ২ জুন থেকে বাণিজ্যিকভাবে তা শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ১০টি গ্লাইডার থাকবে। পেশাদার গ্লাইডিং পাইলট বা গ্লাইডাররা ২০০৭ সাল থেকে গ্লাইডিংয়ের অভিজ্ঞতায় ভরপুর। রোহিণীতে জিটিএ (GTA) গেস্ট হাউসের কাছ থেকে তোলা হবে যাত্রীদের, ১০ মিনিট পর ফের এখানে নামানো হবে তাঁদের।
এনিয়ে জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেন, “পর্যটন এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়। প্যারা গ্লাইডিং পাহাড়ি পর্যটনকেই সাহায্য করবে। কার্শিয়াংয়ের পর পর্যটকরা দার্জিলিং, মিরিক যাবেন। পর্যটন (Tourism) হল দার্জিলিং পাহাড়ের মেরুদণ্ড।” তিনি আরও বলেন, “কয়েক বছর আগে কার্শিয়াংয়ের প্যারা গ্লাইডিংয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অবতরণে সমস্যা হয়েছিল। অ্যারো ক্লাব, কার্শিয়াংয়ে প্যারা-গ্লাইডিংয়ের জন্য কাজ করছে। গত এক বছর ধরে সাফল্যের পর আজ চালু হল।” অ্যারো ক্লাবের দুই সদস্য জানাচ্ছেন, কার্শিয়াংয়ের একট বেসরকারি সংস্থা, কার্শিয়াং অ্যারো ক্লাব, জিটিএ পর্যটন বিভাগের সহযোগিতায় প্যারা-গ্লাইডিং পরিচালনা করবে৷ ফলে এবার কার্শিয়াংয়ে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ এই প্যারা গ্লাইডিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.