সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাটার ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সওয়াল তুললেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। গুজরাট সামিটে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই আবেদন করেন তিনি। ঔপনিবেশিক আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর পদক্ষেপের সঙ্গে তুলনা করে বিদেশি সংস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, অনলাইনের থেকে অফলাইনে প্ল্যাটফর্মে আমাজন বা ওয়ালমার্ট কোম্পানির সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানালেন আম্বানি।
ডিজিটাল অর্থনীতি কীভাবে দেশে বাড়ছে, সেই জন্য একটি বিতর্কসভা আয়োজন করা হয়েছিল। বিদেশি ডিজিটাল কোম্পানিরা যেভাবে সেই প্রসঙ্গেই মন্তব্য করলেন মুকেশ আম্বানি। তিনি বলেন, “আজ আমরা ডাটা ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলন শুরু হতে চলেছি। প্রথম কাজ, ভারতীয়দের সব ডাটা প্রথমে দেশে ফেরাতে হবে। দেশের মানুষকে দেশের ডিজিটাল সংস্থায় ফেরাতে হবে। দেশের সম্পদ যাতে দেশেই থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরি করতে আশা করি এটাই আপনি প্রাথমিক লক্ষ্য করে এগিয়ে যাবেন।” একই মাসে দুবার ভারতীয় সংস্থাকে আরও মজবুত করার বিষয়ে সওয়াল করলেন আম্বানি। স্থানীয় সংস্থা যাতে দেশের মানুষের ইন্টারনেট ডাটা থেকে উপকৃত হয়, তার জন্যই এই আম্বানির এই ডাটা বিপ্লব। গতবছর এপ্রিলে রিজার্ভ ব্যাংক দেশের সংস্থার কাছে একটি আবেদন করেছিল। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভারতীয় গ্রাহকের থেকে কত ব্যবসা করছে তারা। তাহলে নজর রাখার সুবিধা হবে। কেন্দ্র নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতীয় গ্রাহকদের ব্যবহৃত ডাটা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ড্রাফট ডাটা প্রাইভেসি বিল আনার উদ্দেশ্য, ফেসবুক ও গুগলের মাধ্যমে কত পরিমাণ ডাটা দেশের বাইরে যাচ্ছে ও কী কী গোপনীয় তথ্য যাচ্ছে তার উপর নজর রাখা। বিদেশি সংস্থাগুলো যেভাবে অনলাইনে নিজেদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতীয় গ্রাহকদের টানছে, তার বিরুদ্ধেই কাজ করবে এই তথ্য সুরক্ষা আইন। বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলো ভারতের নীতি ভাঙছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গুজরাট সামিটে এই বিষয়েই সোচ্চার হলেন রিলায়েন্সের কর্ণধার।
দেশে জিও টেলিকম সংস্থা এনেছিলেন মুকেশ আম্বানি। সেই জিও-র হাত ধরেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখেছিল দেশ। শুক্রবার গুজরাট সামিটে আমাজন ও ওয়ালমার্টের মতো দেশের ডিজিটাল বিপ্লবের পরিকল্পনাও জানালেন। তিনি জানান, অনলাইন টু অফলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে এদেশে। যার মাধ্যমে ভারতের ই-কমার্স সংস্থা আরও উন্নত হবে। ভারতের অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়েও নিজের বক্তব্য রাখেন তিনি। আম্বানি জানান, দেশের সাড়ে ছ’হাজার শহরে ৯ হাজারের বেশি জিও স্টোর তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে ১২ লাখ রিটেলারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের তিন কোটি গ্রাহক এখন জিও পরিষেবা পাচ্ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.