পুজো দোরগোড়ায়। কেনাকাটি শেষ করে এবার লাস্ট মিনিট ডায়েট প্ল্যান ফলো আপ করবেন অনেকেই। ২০-২৫ দিনে জিমে দৌড়ে লাভ নেই, বরং সহজ কিছু রুটিন মেনে চললে প্যান্ডেলের ভিড়ে আপনার ওপর চোখ পড়বেই।
- ক্র্যাশ ডায়েট করবেন না। পুজোর ক’দিন নিজেকে রোগা করার তাগিদে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলে কোনও ফেশিয়াল প্যাকই গ্লো আনতে পারবে না। তার বদলে পুজোর আগের ক’দিন রোজকার খাওয়াদাওয়ায় বদল আনুন।
- সকালে উঠে খালি পেটে একগ্লাস জল খান। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে উষ্ণ গরমজল খান একগ্লাস।
- জলখাবার স্কিপ করবেন না। লুচি-পরোটা না খেয়ে চিঁড়ের পোলাও, ওটস, খই-দুধ ও মরশুমি ফল খান।
- স্কিনের বাহ্যিক পরিচর্যার পাশাপাশি ভিতর থেকে জেল্লা আনার জন্য ডিটক্স ওয়াটার খেতে পারেন। দু’গ্লাস জলে ৫ স্লাইস শসা, খানিকটা পাতিলেবুর রস ও তিন-চারটে পুদিনাপাতা ফেলে রেখে দিন ১ ঘণ্টা। অল্প অল্প করে খান। ফ্রিজে রেখেও খাওয়া যেতে পারে।
[ বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কাটিয়ে এবার কম খরচেই সন্তানের জন্ম দিন ]
- একইভাবে লেবু, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, মধু ও পুদিনা দিয়ে তৈরি করুন ডিটক্স ওয়াটার। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার হজমে সহায়ক, মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।
- অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ও দারচিনি গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
- যাঁদের ব্লোটিং-এর সমস্যা আছে, তাঁরা খাওয়ায় নুনের পরিমাণ কম করুন। ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি খান। দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করুন।
- ব্লোটিং-এর সমস্যা কমাতে ধীরে চিবিয়ে খাবার খান। কার্বোনেটেড পানীয়, ব্রকোলি, ফুলকপি, স্প্রাউট্স, চিনেবাদাম জাতীয় খাবার এড়িয়ে যান। ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড ও প্রসেসড খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিন। রোল, পাস্তা, নুডল্স, বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন, মোমো, চপ-কাটলেট, প্যাকেজ্ড ফ্রুট জুস, চিপ্স, চানাচুর যাবতীয় এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
- রোজকার ডায়েটে তিন-চারটে আমন্ড খান।
- পেঁপে, মুসুম্বি, লেবু, গাজর, বেল পেপার ও রঙিন শাকসবজি রাখুন রোজকার ডায়েটে।
- দুধ ও দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট খান রোজ। দুধ সহ্য না হলে দই বা সয়া মিল্ক খান। পনির বা ছানাও চলতে পারে।
- প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে কার্বোহাইড্রেট কম করুন, এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- কোনও খাবারে যদি অ্যালার্জি হয়, সে ধরনের খাবার একেবারে এড়িয়ে চলুন।
- স্ন্যাকিং-এর অভ্যাসে চপ-মুড়ি না খেয়ে মুড়ি-ছোলা, চিঁড়েভাজা, আমন্ড-কিশমিশ, আখরোট খান।
- দিনে এক কাপ গ্রিন টি খান, দুধ চায়ের বদলে।
- চিনির পরিমাণ কমিয়ে দিন। মিষ্টি, কেক-পেস্ট্রি একদম স্ট্রিক্ট নো-নো।
- পুজোর আগে সর্দি-কাশি দূরে রাখতে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান। লেবু, আমলকী, কিউয়ি জাতীয় ফল খান রোজ।
- রোগব্যাধি দূরে রাখার জন্য সকালে খালি পেটে একটুকরো কাঁচা হলুদ আর হাফ চা চামচ আখের গুড় খান। রাতে শোয়ার আগে একগ্লাস দুধে দু’চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খান।
[ জানেন, প্রসাধনী সামগ্রীতে লুকিয়ে থাকে বিপদের বিষ? ]
- তেল-যুক্ত মাছ খান। এতে থাকা ওমেগা থ্রি অ্যাসিড ত্বকের জন্য উপকারী।
- নিয়মিতভাবে যদি আপনি কোনও ওষুধ খান, তার ডোজ মনে করে খান। ডোজ মিস করলেও শরীরে ও ত্বকে তার প্রভাব দেখা দিতে পারে, সামনে পুজোর দিনগুলো মাটি হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।
- সাত দিনে রোগা হওয়ার জন্য স্লিমিং পিল খাবেন না, এতে ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।
- একমাসের জন্য জিমে অযথা টাকা ইনভেস্ট না করে, বাকি ক’দিন বাড়িতে যোগব্যায়াম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোন।
- দিনে ২ থেকে ২.৫ লিটার জল খান। ডিটক্স ওয়াটার, চিনি ছাড়া দইয়ের ঘোল, ডাবের জল খান।