সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে মানে দুটি মানুষের সঙ্গে দুটি পরিবারের মিলন। আচার-অনুষ্ঠান মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়তে অনেকেই ভালবাসেন। তবে সে সব রীতি-রেওয়াজে বেশিরভাগ নিয়ম পালন করতে হয় কনেকেই। কেন? উত্তর একটাই। এ দেশে এমনটাই হয়ে আসছে। তাই ট্র্যাডিশন মেনে বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন কনেরাও। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও এখানে নিয়মে আবদ্ধ। পুরুষদের সেসব না করলেও চলে। কিন্তু দীপা খোসলা যেভাবে তাঁর দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড ওলেগ বুলারের সঙ্গে বিয়ে করলেন, তা এ সমাজের কাছে নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।
হিন্দু ধর্মের বিয়ের আচারগুলির মধ্যে অন্যতম স্বামীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে তাঁর আশীর্বাদ নেওয়া। রীতি মেনে প্রত্যেক কনেই সে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে থাকেন। নাহলেই সমাজের চোখ রাঙানির মুখে পড়তে হয়। অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে ছাড় রয়েছে। স্ত্রীকে এভাবে সম্মান জানানোর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এমনটা কেন? অগ্নিসাক্ষী রেখে যখন দুটি মানুষ জীবনের সবকিছু সমান ভাগে ভাগ করে নেওয়ার শপথ নেন, তখন সম্মান প্রদর্শনে কার্পণ্যের কারণ কী? মনে মনে এমন প্রশ্নই করেছিলেন দীপা খোসলা। উত্তর দিলেন স্বামী। স্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রমাণ করে সমাজের তথাকথিত রীতি ভেঙে দিলেন ওলেগ বুলার। পরস্পরের পা ছুঁয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিয়েতে দুজনে সবকিছুই ভাগ করে নেবেন।
মজার বিষয় হল ওলেগ বুলার কিন্তু এ দেশের পাত্র নন। কিন্তু ভারতীয় নিয়ম মেনে বিয়ে করতে এতটুকুও অসুবিধা হয়নি তাঁর। উলটোদিকে স্বামীকে খুশি করতে আবার ইউরোপীয়ান মতেও বিয়ে করেছেন দীপা। এখানেই শেষ নয়, বর-কনে দুজনই পরস্পরের পদবি জুড়ে দিয়েছেন নিজেদের নামের সঙ্গে। হয়ে গিয়েছেন ওলেগ বুলার খোসলা এবং দীপা বুলার খোসলা। এমন পরিবর্তন সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.