ভারতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন মানুষ কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত৷ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ এখন ঘরে ঘরে৷ বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, পারিবারিক ইতিহাসে কিডনির সমস্যা থাকলে, ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে৷ ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা ‘হু’-র দাবি, সারা বিশ্বে কিডনির অসুখে প্রতি বছর মৃত্যু হয় প্রায় সাড়ে আট লাখ মানুষের৷ অর্থাৎ একবার অকেজো হলে ধনেপ্রাণে মেরে দেয় কিডনির অসুখ৷ তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত৷ কিডনির অসুখ নিয়েই পরামর্শ দিচ্ছেন ফর্টিস হসপিটালের বিশিষ্ট নেফ্রোলজিস্ট ডা. অরূপরতন দত্ত৷ শুনলেন সৌন্দর্য দাস।
কিডনির অসুখ মূলত দু’ধরনের হয়। ১. অ্যাকিউট কিডনি ডিজিজ ও ২. ক্রনিক কিডনি ডিজিজ
অ্যাকিউট কিডনি ডিজিজ: হঠাত্ করেই কিডনির উপর প্রভাব ফেলে৷ বিভিন্ন ইনফেকশন, ম্যালেরিয়া, সিভিয়ার ডায়ারিয়া, সাপের কামড় অথবা হঠাত্ দুর্ঘটনা ঘটলে তার প্রভাবে হয় অ্যাকিউট কিডনি ডিজিজ৷ তবে এই ধরনের কিডনির অসুখ ৩ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়৷
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ: সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই অসুখ৷ দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ না করলে কিডনির সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়৷ এছাড়াও ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন, কিডনি স্টোন, পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (কিডনিতে সিস্ট) ও গ্লুমেরুলোনেফ্রাইটিসের (নেফ্রনে প্রদাহ) সমস্যা দেখা যায়৷ প্রোস্টেটের সমস্যা, ইউরিনারি ট্র্যাক ব্লক থাকলেও কিডনির সমস্যা হয়৷
কারা বেশি আক্রান্ত হন: বয়স্ক হলে, পরিবারে কারও কিডনির সমস্যা থাকলে, দীর্ঘদিন হার্টের অসুখ, ওবেসিটি, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে কিডনির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়৷
শনাক্ত: ক্রনিক কিডনি ডিজিজে তেমন কোনও লক্ষণ থাকে না৷ ধীরে ধীরে রোগ বাড়তে থাকে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাডভান্স স্টেজে রোগী বুঝতে পারেন৷ পরবর্তীকালে যে যে লক্ষণ দেখা যায় তা হল –
বদ অভ্যাস:
কথায় কথায় পেন কিলার (এনএসএআইডি গ্রুপের ওষুধ) ও কারণ ছাড়াই নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ (পিপিআই গ্রুপের ওষুধ) খাওয়ার অভ্যাস কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে৷ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি৷
কিডনি ভাল রাখতে:
যোগাযোগ: ০৩৩ ৬৬২৮ ৪৪৪৪
আরও পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.