Advertisement
Advertisement

Breaking News

আধুনিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সারিয়ে ফেলা যায় শ্বেতি

কীভাবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন?

How to cure vitiligo
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 29, 2019 8:40 pm
  • Updated:January 29, 2019 8:40 pm  

নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিতে শ্বেতি মুক্তির দিশা। কী এই আধুনিক পদ্ধতি? সুমিত রায়-কে জানালেন রুবি জেনারেল হসপিটালের বিশিষ্ট ডার্মাটোলজিস্ট ডা. প্রিয়াঙ্কা আগরওয়াল

শরীরের যে কোনও স্থানের ত্বকেই একটু দাগ-ছোপ মানেই মন খুঁতখুঁত। আর মুখে ছোট ক্ষত হলেই সেই খুঁতখুঁতানি দ্বিগুণ। সমস্যা যদি শ্বেতি হয়, তবে তো চক্ষু চড়ক গাছ। এত ভয়ের কারণ, এই রোগ একবার হলে তা সারাজীবনের সঙ্গী। আর শরীরের অন্যান্য অঙ্গের থেকেও মুখে এই দাগ হলে তো কথাই নেই, সৌন্দর্যের অমাবস্যা! যা রোগীকে সবসময় একটা হীনমন্যতায় ভোগায়। শরীরের পাশাপাশি মনের উপরও এই অসুখের প্রভাব মারাত্মক। শ্বেতির সমস্যা থেকে মুক্তির যেসব চলতি উপায় রয়েছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেদনাদায়ক, বা সময়সাপেক্ষ অথবা খুব জটিল। তবে এখন এই শহরেই কম খরচে, খুব কম সময়ে সারা জীবনের জন্য এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Advertisement

শ্বেতি রোগটা আসলে কী?

আমাদের শরীরের ত্বকের রং ধরে রাখে ত্বকে উপস্থিত মেলানিন নামক রঞ্জক। যেটা তৈরি হয় মেলানোসাইট নামক কোষ দ্বারা। এই কোষগুলি যখন কোনও কারণে এই রঞ্জক তৈরি করতে পারে না বা করে না তখন ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় সাদা সাদা দাগ বা শ্বেতির উৎপত্তি দেখা দেয়। সারা বিশ্বে ০.১ – ২% লোক এই রোগে ভোগেন। এই দাগগুলি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

অতীত চিকিৎসা

অত্যাধুনিক চিকিৎসা আরম্ভ হওয়ার আগে যে সার্জিক্যাল চিকিৎসা গুলি করা হতো তা হল-

  • স্কিন গ্রাফটিং- সুস্থ জায়গার চামড়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জায়গায় একটু ক্ষত করে বসানো।
  • সাকশন ব্লিসটার গ্রাফটিং- সুস্থ জায়গার চামড়ায় কৃত্রিমভাবে ফোসকা বানিয়ে সেখান থেকে ওই ফোসকার উপরের চামড়াটা কেটে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় বসানো।
  • মিনি/পাঞ্চ গ্রাফটিং- ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় ছোট ছোট ফুটো করে ৩ মিমি থেকে ৪ মিমি এর দূরত্বে গ্রাফটিং করা।

OMG! ধূপকাঠির ধোঁয়াতেও হতে পারে ক্যানসার ]

নতুন চিকিৎসা

এই চিকিৎসা দু’ রকমের হয়-

  • কালচার মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন
  • নন কালচার মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন

এই দুটির মধ্যে সব চেয়ে ভাল উপায় হল নন কালচার মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন।

নন মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন

এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর ১০ সেমি স্কোয়্যার চামড়া থেকে ১০০ সেমি স্কোয়্যারের ক্ষেত্রফলের চিকিৎসা সম্ভব এবং সেটাও কিন্তু মাত্র একটা সিটিংয়েই (১-৩ ঘণ্টায়) করে ফেল যায়। কিন্তু শর্ত একটাই- শ্বেতি যেন গত এক বছরে একই থাকে, কোনও ভাবে বাড়লে এই চিকিৎসা করা যাবে না। যদিও এই শর্ত আগে যে সার্জিক্যাল চিকিৎসাগুলি ছিল সেইক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে শ্বেতি একবার শুরু হলে সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়তে থাকে। এই স্টেবেল অবস্থায় আনার জন্য কিছু ওষুধ দেওয়া হয় যেগুলি হল ইমিউনো-সাবপ্রেসেন্ট।

এই নতুন চিকিৎসার সুবিধাগুলি হল-

  • একটি ছোট জায়গা (১০ সেমি স্কোয়্যার) চামড়া থেকে লক্ষ লক্ষ মেলানোসাইট নিয়ে অনেকটা বড় জায়গা (১০০ সেমি স্কোয়্যার) চিকিৎসা করা যায়।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক সিটিংয়ে ১-৩ ঘণ্টার মধ্যে পুরো চিকিৎসা করে ফেলা সম্ভব।
  • ত্বকের সুস্থ স্বাভাবিক রং এবং গঠনের মিল এই চিকিৎসার করে সবচেয়ে বেশি ফিরে পাওয়া সম্ভব।
  • বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লোকাল অ্যানাস্থিসিয়া দিয়ে অপারেশন করা হয়।
  • এর জন্য আলাদা করে কোনও কালচার ল্যাবরেটরি দরকার পড়ে না (যে কারণে খরচ কম), এবং এই চিকিৎসার ফলাফল অনেক ভাল। খরচ- ৭-১০ হাজার টাকা।
  • ৯০-৯৪% ক্ষেত্রে রোগ সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হয়ে যায়।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক বছরের মধ্যে পুরোপুরি স্বাভাবিক ত্বক ফিরে পাওয়া যায়।

পরামর্শে: ৯৮৩০৪৫৭৪৪৪

OMG! ধূপকাঠির ধোঁয়াতেও হতে পারে ক্যানসার ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement