মণিদীপা কর: আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমছে শরীরের উষ্ণতা। সেইসঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কও শীতল হয়ে যাচ্ছে? চিন্তা করবেন না, প্রকৃতিতেই ছড়িয়ে রয়েছে যৌন উত্তেজনাবর্ধক নানা উপাদান, যা আপনার জিভের পাশাপাশি যৌন রসনাকেও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
শীতকালে সর্দিকাশি থেকে বাঁচতে মা-ঠাকুমাদের টোটকার কথা ভুললে চলবে কেন? সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চামচ মধু খাওয়ার পরামর্শ তো ছোটবেলা থেকে প্রায় সকলেই শুনে এসেছেন। কখনও ভেবেছেন কি, শরীর গরম করে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে যে মধু আপনাকে হাড়কাঁপানো শীত থেকে রক্ষা করতে পারে, তাইই আপনার যৌন জীবনকেও উষ্ণ করে তুলবে? ব্রিটিশ গবেষকরা জানাচ্ছেন, পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে যৌন স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে মধুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পুরুষ শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মধু। অন্যদিকে, মধুতে উপস্থিত খনিজ পদার্থের তালিকায় রয়েছে বোরন। যা স্ত্রী দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। আর এই টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন – দুইই সেক্স হরমোন।
[যৌন ফ্যান্টাসিই বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ]
পূর্ব ইউরোপের বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় দেখেছেন, তিন আউন্স মধু দেহের নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিক শরীরের রক্তবাহের স্ফীতি ঘটিয়ে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে। রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধিতে শরীর যেমন চনমনে হয়ে ওঠে, তেমনই যৌন উত্তেজনা বাড়ে। একই সঙ্গে যৌনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায়, তার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিও হয়। পাশাপাশি বাড়ে যৌন ক্ষমতাও। শীতের দিনে তাই মধুর টু-ইন-ওয়ান এফেক্ট রয়েছে। ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ডেভিড বেনটন জানান, মধুতে উপস্থিত রাসায়নিকের প্রভাবে আমাদের মানসিক স্ফূর্তি ঘটে। যা সরাসরি যৌন উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, মধু সুস্বাদুও। ফলে মধুর তৈরি বিভিন্ন পদ সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে খাওয়ানোর আনন্দও নেহাত কম নয়। ভারতীয় বিয়ের রীতিতে স্ত্রীর স্বামীকে মধু খাওয়ানোর রেওয়াজ শুধুই জীবন মধুময় হওয়ার প্রতীক হিসাবে নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম্পত্যের শুরু থেকেই জীবন উষ্ণতায় পরিপূর্ণ করে তোলাও এর অন্যতম লক্ষ্য। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে মুখেই শুধু ‘হানি’ বলে মধুর সম্বোধনেই আটকে থাকবেন না৷ নিয়মিত মধু খাইয়ে শীতল পরিবেশে যৌনতায় আনুন উষ্ণতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.