Advertisement
Advertisement

টাইফয়েড হলে ব্যস্ত হবেন না, জেনে রাখুন কিছু ঘরোয়া টোটকা

জেনে নিন কী কী ঘরোয়া উপায় রয়েছে।

Home Remedies For Typhoid

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 3, 2018 8:17 pm
  • Updated:August 3, 2018 8:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সালমোনেল্লা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে হয় টাইফয়েড। শুধু জ্বর তো নয়, টাইফয়েডে আরও অনেক উপসর্গ দেখা যায়। জ্বরের সঙ্গে সেগুলির মোকাবিলাও করতে হয়। খাওয়া তো বটেই, সেই সঙ্গে এই সময় জলের উপরও নজর দিতে হয়। মেনে চলতে হয় ডাক্তারের অনেক নির্দেশ। শরীর সুস্থ রাখতে এই সময় বাড়িতে কিছু নিয়ম মেনে চললে শরীর সুস্থ হবে তাড়াতাড়ি।

১) জল খান

Advertisement

টাইফয়েডের মতো রোগ হলে যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণে জল খান। অবশ্য শুধু জল নয়। যে কোনও তরল খাবার খেতে পারেন। ফলের রস, হার্বাল চা-ও থাকতে পারে তালিকায়। টাইফয়েড থেকে ডাইরিয়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তা যাতে না হয় তাই তরল খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যে কোনও ফলের রস এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। তরল যত বেশি শরীরে ঢুকবে, শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। ফলে শরীর সুস্থ হবে তত তাড়াতাড়ি।

ডেঙ্গু থেকে ডায়াবেটিস, সব সারাচ্ছে ড্রাগন ফল ]

২) আদা

শরীরের যে কোনও রকম সমস্যায় আদা সবচেয়ে উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। কিডনি থেকে অযাচিত পদার্থ বের করে দিতেও সাহায্য করে আদা। ফলে শরীর পরিষ্কার হয়। সবচেয়ে উপকারী কাঁচা আদা বা অর্ধেক রান্না করা আদা। এতে গুণাগুণ বেশি থাকে। তাই টাইফয়েডের সময় আদা যত শরীরে ঢুকবে, তত ভাল।

৩) তুলসী

অনেক রোগের ওষুধ তুলসী। টাইফয়েডের জন্য এটি খুব সাধারণ ঘরোয়া ওষুধ। অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতেও কাজে লাগে তুলসী। টাইফয়েডেও এই পথ্য যথেষ্ট উপকারী। গরম জলে প্রথমে তুলসী পাতা হালকা করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এতে বাইরের ধুলো চলে যাবে। তারপর অল্প মধু বা আদার রস বা গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে তুলসী পাতা খাওয়া যেতে পারে। টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়া তাড়াতে খুব সাহায্য করে তুলসী।

সন্ধের ঝালমুড়িতেও ভেজাল! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? ]

৪) অ্যাপেল সিডার ভিনিগার

এতে প্রচুর অ্যাসিডিক উপাদান থাকে। জ্বর কমাতে সাহায্য করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। দেহ থেকে উত্তব বের করে এটি। টাইফয়েড মানেই জ্বর একটি বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে বেশি জ্বর হলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দেওয়া যেতে পারে। ডাইরিয়াকেও আটকায় এই ঘরোয়া টোটকা। দেহের পুষ্টি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

৫) ঠান্ডা জল

জ্বর বেশি হলে ঠান্ডা জলে কাপড় ভিজিয়ে মাথায় দিয়ে রাখতে হবে। সাদা বাংলায় যাকে বলে জলপট্টি দেওয়া। দেহের তাপমাত্রা আরও বেড়ে গেলে অবশ্য এতে আর কাজ হয় না। তখন ঠান্ডা মাথা ধুয়ে দিতে হবে। ঠান্ডা জলে কাপড় ভিজিয়ে সারা গা মুছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এতে জ্বর খুব তাড়াতাড়ি নেমে যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement