সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা সাহিত্যের ‘জুতা আবিষ্কার’-এর কাহিনি অনেক বাঙালিরই জানা। তবে বাস্তবে জুতোর আবিষ্কার কবে হয়েছে, তা নিয়ে অত মগজাস্ত্রে শান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন জুতোর যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে জানা। বাইরে গেলেই যে শুধু জুতো বা চপ্পল পরা হয় তা কিন্তু নয়। অনেকে ঘরের অন্দরেও জুতো বা চপ্পল পরে থাকেন। আপনি যদি সেই তালিকায় পড়েন তাহলে অবশ্য বাস্তু শাস্ত্রের (Vastu Shastra) কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন। বিশ্বাসেই তো মেলায় বস্তু। তাই জেনে রাখতে তো ক্ষতি নেই।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির অন্দরে কয়েকটি এমন জায়গা আছে যেখানে জুতো বা চপ্পল একেবারেই পরতে নেই। খালি পায়ে সেখানে যাওয়াই ভাল। যেমন –
ভাঁড়ার ঘর: বাড়ির এই অংশে সংসারের সঞ্চয় থাকে। তাই এখানে কখনই জুতো বা চপ্পল পরে ঢুকবেন না। এতে গৃহদেবতা অসন্তুষ্ট হন। সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয় বলেই মনে করা হয়।
সিন্দুক বা টাকা রাখার ভল্ট: সিন্দুক বা ভল্টের মধ্যে আপনার সংসারের যাবতীয় ধন-সম্পত্তি থাকে। কখনই জুতো বা চপ্পল পরে তা থেকে কিছু নেবেন না বা রাখবেন না। এতে লক্ষ্মী দেবী অসন্তুষ্ট হন। গৃহ ত্যাগ করেন বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। ভক্তি থাকলে তবেই সমৃদ্ধি থাকবে বলে মনে করা হয়।
রান্নাঘর: বাড়ির এই অংশে অন্নপূর্ণার বাস। সেই কারণেই নতুন বউ বাড়িতে এলে হেঁশেলে একবার তাঁকে ঢুকতেই হয়। নিয়ম মেনে শ্বশুরবাড়ির জন্য কিছু না কিছু খাবার তৈরি করতে হয়। জুতো বা চপ্পল পরে বাড়ির এই অংশে ঢুকলে অন্নের দেবীকে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
মন্দির বা ঠাকুরের স্থান – প্রার্থনার জায়গা বলুন বা ইবাদতের স্থান, তা সবসময় পবিত্র হয়। তাই সেখানে জুতো বা চপ্পল পরে এক্কেবারেই যাওয়া উচিত নয়। মনের সমস্ত দ্বিধা, দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রেখে এক মনে ধ্যান করুন। কঠিন এই সময় আর কিছু হোক না হোক। মনে কিছুটা শান্তি পাবেন, জোর পাবেন। আর পাবেন লড়াইয়ের শক্তি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.