সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতের দশকের বাংলা সিনেমার সৌজন্যে ‘হাজার টাকার ঝাড়বাতি’র মর্ম সিনেপ্রেমী বাঙালির জানা। মান্না দে’র (Manna Dey) কণ্ঠে উত্তমকুমারের (Uttam Kumar) সেই ম্যানারিজম ভোলার নয়। অতীতের ঐতিহ্যতেই তো সমৃদ্ধ হয় আজকের বর্তমান আর আগামীর ভবিষ্যৎ। ঐতিহ্যের এই আভিজাত্যেই আপনার অন্দরমহলকে সাজান। ঝাড়বাতির রোশনাই আপনার চেনা ঘরকে পালটে দেবে। তাকে আরও মোহময়ী করে তুলবে। বর্ষশেষে এই সনাতনী সাজেই বদলে দিন ঘরের রূপ।
১) ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো ঝাড়বাতির মধ্যে একটা রাজবাড়ির আভিজাত্য রয়েছে। এই ধরনের ঝাড়বাতি বড় হলঘরে লাগালে সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়। নানা আকার ও আয়তন অনুযায়ী পেয়ে যাবেন। ঘরের আকার ও নিজের পছন্দ অনুযায়ী কিনবেন।
২) আভিজাত্যের ছোঁয়ার পাশাপাশি যাঁরা একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসেন, তাঁরা হরিণ শিংয়ের আকারের ঝাড়বাতি ঘরের সজ্জার জন্য ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে বাড়ির মধ্যেই একটা বুনো আবহও পাওয়া যায়।
৩) আর আছে ক্যান্ডেল বা মোমবাতির ঝাড়বাতি। এই ঝাড়বাতির ইতিহাস বেশ পুরনো। পুরোনো কালের কোনও সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখলেই এমন ঝাড়বাতি দেখতে পাবেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কেউ আসল মোমবাতি ব্যবহার করেন, কেউ কেউ আমার মোমবাতির মতো দেখতে লাইট লাগিয়ে দেন। সাধারণত ছোট বা নিচু ছাদে এই ধরনের ঝাড়বাতি খুব ভাল মানায়।
৪) সব ধরনের ঘর ও ছাদের সঙ্গে মানিয়ে যায় কাচের ঝাড়বাতি। এটিও বেশ পুরনো ফ্যাশন। যেই ঘরেই রাখুন না কেন সেখানকার আলাদা একটা চরিত্র হয়ে ওঠে। গোটা ঘরে একটা নাটকীয়তা সৃষ্টি করে।
৫) একই সঙ্গে বিলাসিতা আর উদাসীন মনের প্রবৃত্তি ফুটিয়ে তুলতে গেলে পেনডেন্টের মতো ঝুলন্ত ঝাড়বাতি ব্যবহার করুন। লিভিং রুমেই সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে এগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.