ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা শোয়ার অভ্যাস যাঁদের রয়েছে তাঁরা না হয় নাই টের পেলেন। কিন্তু সঙ্গী কিংবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শোয়ার অভ্যাস যাঁদের, তাঁদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাসিকা গর্জনের ঠেলা সহ্য করতেই হয়। কয়েকটি সমীক্ষার দাবি, প্রতি ১০০ জন প্রাপ্ত বয়স্কের মধ্যে ৩০ জনের নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে। ষাট বছরের বেশি মানুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বেশি। ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়ার সম্ভব। কীভাবে? একটি ফিজিওথেরাপি রিসার্চ অনুযায়ী ঘরোয়া উপাদানে তৈরি কিছু সুগন্ধী তেলেই মিলবে আরাম। কমবে নাসিকা গর্জন।
১) ল্যাভেন্ডার তেল (Lavender Essential Oil): ২০১৪ সালে প্রকাশিত জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন নামে প্রকাশিত এক জার্নালে বলা হয়েছে ল্যাভেন্ডার তেলের গন্ধ মনকে শান্ত করে। নিঃশ্বাস-প্রঃশ্বাসের ক্ষেত্রেও উপকারী। এতে ঘুম ভাল হয়। আবার নাক ডাকাও কমে।
২) লেমন তেল (Lemon Essential Oil): লেবুর গন্ধ এমনিতেই শরীর চাঙ্গা করে তোলে। কারও বমি বমি ভাব থাকলেও লেবু শুকতে দেওয়া হয়। ২০১১ সালের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গার্গল করার জলে লেবুর তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
৩) মৌরির তেল (Fennel Essential Oil): মৌরি এমনিতেই হজম শক্তি বাড়ায়। এছাড়াও নাক ও গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যাতে নিঃশ্বাস-প্রঃশ্বাসে কোনও বাধা না তৈরি হয়।
৪) লবঙ্গ তেল: (Clove Essential Oil): সর্দি বা কাশি হলে লবঙ্গ পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। সাইনাসের ক্ষেত্রেও এটি খুবই উপকারী। নিঃশ্বাস-প্রঃশ্বাসের পথ প্রশস্ত করে।
৫) গোলমরিচের তেল: (Clove Essential Oil) ভেষজ বিদ্যায় গোলমরিচের বিবিধ উপকারের কথা লেখা রয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশির ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হয়েই থাকে। নাকের বাধা খুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.