সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এপ্রিলেই এত গরমের চোখ রাঙানি, মে-জুন মাসে কী হবে কে জানে? বেলা বাড়ার অপেক্ষা আর করতে হচ্ছে না। সকাল সাতটা বা আটটা বাজলেই আর তাকানো যাচ্ছে না বাইরের দিকে। ঘরের চারটে দেওয়ালের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। কতক্ষণ আর এসি বা কুলার চালাবেন! তার চেয়ে ঘরোয়া কয়েকটি পদ্ধতি জেনে রাখুন। এতেই ঘর কিছুটা ঠান্ডা রাখা সম্ভব।
যাঁদের বসত বাড়ি তাঁরা বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান। এমন গাছ লাগাবেন যাতে একটু ছাওয়া পাওয়া যায়। পূব বা পশ্চিম দিক বুঝে গাছ গুলো লাগালে ভালো। এতে সূর্যের আলো সরাসরি প্রবেশ করতে পারে না। এবার আসা যাক ফ্ল্যাটের কথায়। তাঁরা কী করবেন? ছোট ছোট গাছ লাগাবেন বারান্দা বা জানলার পাশে।
গরমের এই সময় কিন্তু জলই জীবন। একথা যেমন আপনার ক্ষেত্রে সত্যি, তেমনই আপনার বাড়ির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিন থেকে চার বালতি জল নিয়ে জানলার নিচে রেখে দিন। এই জলে পর্দার কিছুটা অংশ ভিজিয়ে নিতে হবে। তার পর পাখা চালিয়ে দিলেই টের পাবেন ঠান্ডা। গরমের এই সময় ভারী পর্দা ব্যবহার করা ভালো। মাদুরের পর্দাও ব্যবহার করতে পারেন।
গরমের এই সময় বাথরুমে যাওয়া যেন বিভীষিকার মতো। বাড়ির অন্যান্য জায়গা থেকে তা আরও বেশি গরম থাকে। গরমের এই সময় যতটা পারবেন বাথরুমের দরজা খোলা রাখবেন। এতে ঠিকঠাক ভেন্টিলেশন হয়। চাইলে বাথরুমের ফ্লোরে একটু ঠান্ডা জল ঢেলে নেবেন।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিশেষ করে টিভি, লাইট, ফ্রিজের প্রয়োজন না হলে বন্ধ রাখবেন। হ্যাঁ, এই সময় ফ্রিজ বন্ধ রাখা প্রায় অসম্ভব। কারণ তাতেই খাবার, ঠান্ডা জল, বরফ থাকে। সেক্ষেত্রে বাকি জিনিস গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন। মোবাইলের চার্জ থেকেও নাকি তাপ নির্গত হয়।
গরমের এই সময় বিছানার চাদর বা বালিশের কভারের রং হালকা রাখাই ভালো। এতে চোখের আরাম হবে, আবার তাপও কম থাকবে। খেয়াল রাখবেন ছানার চাদর বা বালিশের কভার যেন সূতির হয়। কাপড় মোটা হলে ঘাম বেশি হয়।
সূর্য ডোবার পালা এলেই বাড়ি বা ফ্ল্যাটের জানলার পাল্লা খুলে দেবেন। এতে গরম বাতাস বেরিয়ে যাবে। আর বাইরের হাওয়া ঢুকে ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে। গুমোট ভাবটা আর থাকবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.