সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে হাত বেশ টানাটানি। মাগ্গিগণ্ডার বাজারে সংসার চালাতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে। কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী গ্যাসের (Cooking Gass) দাম। সংসারের কর্তারা গৃহিনীদের পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘একটু দেখে বুঝে চালাও। যতটা সাশ্রয় করা যায় আর কী!” কিন্তু সংসারের কর্ত্রীরাই বা কী করবেন? ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ঘন ঘন চায়ের ফরমায়েশ থেকে ছেলেমেয়ের জন্য মুখরোচক খাবার বানানো। এই রুটিন তো চলছে হরদম। গ্যাস বাঁচবে কীভাবে?
ভেবে ভেবে উপায় বের করতে পারছেন না তাঁরা। তাই গৃহকর্ত্রীদের জন্য রইল রান্নার গ্যাস সাশ্রয়ের সহজ কিছু টিপস। গ্যাস বাঁচানোর বহু ভুল উপায় জানেন অনেকে। সেই মিথগুলোও ভাঙা দরকার।
- রান্নার সময় উপকরণ আর সরঞ্জাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন না। গ্যাস অন করার আগে হাতের কাছে গুছিয়ে ফেলুন সবকিছু। এই ট্রিকস মানলে সময় আর গ্যাস বাঁচবে দুই-ই।
- কড়াই বা ফ্রাইং প্যানে রান্না করতেই অভ্যস্ত আমরা। এবার বদলে ফেলুন অভ্যেস। রান্না সারুন প্রেসার কুকারে। ঋঞ্ঝাট কম। সাশ্রয় হবে জ্বালানিও।
- একান্তই যদি কড়াইতে রান্না করতে চান তবে অবশ্য কড়াই ঢাকা দিয়ে রান্না করবেন। তাতে সবজি যেমন তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে তেমন বাঁচবে মহামূল্যবান গ্যাসও। খোলা কড়াইতে রান্না করলে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুন বেশি গ্যাস নষ্ট হয়। রান্নার পরিমান অনুযায়ী পাত্র ব্যবহার করা দরকার।
- দুধ থেকে সবজি সবকিছু এখন থাকে ফ্রিজের অন্দরে। রান্নার আগের মুহুর্তে আমরা তা বের করে সোজা রান্নার পাত্রে চালান করে দিই। কিন্তি আপনি কি জানেন এতে কত বেশি গ্যাস নষ্ট করছেন? রান্নার অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে সবজি, দুধ বের করে রাখুন। রুম টেম্পারেচারে এলে রান্না করুন। তাতে গরম হতে সময়ও কম লাগবে। বাঁচবে রান্নার গ্যাসও।
- রান্না করার সময় জল ব্যবহার করতে হবে পরিমিত। অত্যাধিক জল ব্যবহার করলে সেই জল শুকতে গ্যাস খরচ হয় বেশি। রান্নার আঁচ হবে মাঝারি।
- মাংস সিদ্ধ করতে যেমন সময় লাগে তেমনই খরচ হয় জ্বালানি। তাই রান্নার আগে মাইক্রোওয়েভে সিদ্ধ করে নেওয়া ভাল। আর সেই উপায় না থাকলে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। আর গ্রিল করার জন্য খবরদার গ্যাস ব্যবহার করবেন না। গ্রিল করার জন্য টোস্টার বা ওভেন ব্যবহার করুন।
- করোনা আবহে বেশ কয়েকবার জল গরম হচ্ছে। বানাতে হচ্ছে চা-ও। এই জল একেবারে বেশি পরিমানে গরম করে রাখলে সুবিধা হবে। পরিশ্রমের পাশাপাশি সাশ্রয় হবে রান্নার গ্যাসও। এই কাজে ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার অথবা সোলার হিটারও ব্যবহার হতে পারে।
রান্নার গ্যাসের সাশ্রয় করতে ওভেন ও সিলিন্ডারে যত্ন নেওয়া অত্যন্ত দরকার।
- নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে বার্নার। হলুদ শিখা বেরোলে বুঝতে হবে পরিষ্কার করার সময় এসেছে।
- গ্যাস লিক হচ্ছে কি না সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর রেগুলেটার, পাইপ ও বার্নার চেক করতে হবে।
- গ্যাস লিকের গন্ধ পেলে শীঘ্র মেরামত করিয়ে নিন। দুর্ঘটনা আটকানোর মেন সুইচ অফ করে দিন।
- গ্যাসের সার্ভিসিং হবে নিয়মিত।