সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুযোগ বুঝে বর্ষাও বেশ ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছে। স্যাঁতস্যাঁতেভাব, উটকো গন্ধ, চার দেওয়ালের মাঝে বন্দিদশায় গুমট প্রকৃতি, কেমন যেন সব অগোছালো হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই অভিযোগ থাকে, বর্ষায় নাকি ঘরদোর বেশি ময়লা হয়, নোংরা জমে! সে যাই হোক, তবে এই মরসুমে সবথেকে বেশি দফারফা হয় আলমারি-বন্দি জামাকাপড় আর জিনিসপত্রের। বাইরের স্যাঁতস্যাঁতেভাব আলমারির অন্দরেও অনেক সময়ে থাবা বসায়। কোনও ব্যাগ, লেদার বেল্ট- এসব থাকলে তো কথাই নেই! ভিড় জমায় ছত্রাকের দল। তাই এইসময়ে ঘরের চারপাশের সঙ্গে আলমারির অন্দরে থাকা জিনিসগুলোরও সমান যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
প্রথমেই বলব, আলমারির অন্দরে ভিজেভাব থাকলে কিংবা ছত্রাক বাসা বাঁধলে সমস্ত জামাকাপড় এবং জিনিসপত্র নামিয়ে নিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ভেজাভাব পুরোপুরি চলে গেলে তারপরই ভাল করে দেখে পোশাক গুছিয়ে রাখুন। তবে হ্যাঁ, আগেকার দিনে যেমন মা-কাকিমারা করতেন, আসবাবের তাকে কাগজ বিছিয়ে তার উপর জামাকাপড় গুছিয়ে রাখতেন, সেই পদ্ধতি কিন্তু দারুণ কার্যকর। সহজেই আলমারির স্যাঁতস্যাঁতেভাবে পোশাক নষ্ট হয় না কিংবা রং মুছে আরেকটা কাপড়ে লাগার ভয় থাকে না!
ছত্রাক বাসা বাঁধার পাশাপাশি, আরেকটা সমস্যা হল বিকট গন্ধ। জামাকাপড়ের ভাঁজে অনেকসময় পোকামাকড়দেরও অবাধ বিচরণ শুরু হয়। তাই এই ভ্যাপসাভাব ও পোকামাকড়দের থেকে রক্ষা করতে চাইলে আসবাবের ভিতর এদিক-ওদিক কয়েকটা ন্যাপথালিন ছড়িয়ে দিন। শুকনো নিমপাতাও এর মোক্ষম দাওয়াই।
শাড়ি যাতে ভাঁজে ভাঁজে ফাঁস না ধরে, কিংবা ছিড়ে না যায়, তাই মাঝেমধ্যেই আলমারি ওলট-পালট করে গোছান। শাড়ি কিংবা বিশেষ সালোয়ার-সেট, কুর্তি হ্যাঙারে ঝোলান, অনেকটা জায়গা পাবেন। সুট জাতীয় পোশাক আলমারির রডে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখলে ভাল। সুতির পোশাকও ঝুলিয়ে রাখা যায়। তবে সোয়েটার বা অন্যান্য পশমের পোশাক ভাঁজ করে রাখুন। ঝুলিয়ে রাখলে লম্বায় বেড়ে যাতে পারে। লেদারের জুতো, বেল্ট, ব্যাগ ব্যবহার করার পর আলমারিতে তুলে রাখতে চাইলে ভাল করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে, হেয়ার ড্রায়ার স্প্রে করে রাখুন। এতে ঘামভাব চলে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.