সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোড়া থেকেই জমিয়ে ব্যাট করছে গ্রীষ্ম। ইতিমধ্যেই পারদ যেভাবে চড়চড়িয়ে বাড়ছে, তাতে আগামিদিনে কী হতে চলেছে, তা আঁচ করেই শিউরে উঠছেন অনেকে। অনেকেই আবার দৌড়চ্ছেন এসি কিনতে। কিন্তু এসি চালানোও যে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য খুব ভাল, এমনটা নয়। চিকিৎসকরা অহরহ এ বিষয়ে সাবধান করছেন। তাহলে উপায় কী? এসি থাকুক বা না থাকুক, কিছু কৌশল মানলেই ঠাণ্ডা রাখা যাবে ঘর।
কী সেই কৌশল?
১) একবাটি বরফই এই গরমে বাজিমাত করতে পারে। টেবিলফ্যান চালিয়ে তার সামনে ধাতব কোনও পাত্রে বরফ রেখে দিন। এবার ফ্যান চালিয়ে দিলেই ঠাণ্ডা হাওয়ায় গোটা ঘর ছেয়ে যাবে। নামমাত্র খরচেই ঘর ঠাণ্ডা রাখার এর থেকে ভাল উপায় আর নেই। বরফ গলে গেলেও ঠান্ডা জলের উপর হাওয়া লেগে বাতাসের স্বাভাবিক উষ্ণতা খানিকটা কমিয়ে দেবে। এই গরমে এই পদ্ধতি মেনে চলতেই পারেন।
২) ঘরের জানলাগুলি যেমন তেমনভাবে না খুলে একটু প্ল্যান করে খুলুন। যদি সম্ভব হয় তাহলে বিপরীত দিকে থাকা জানলা খুলে দিন। এতে বাতাস চলাচল করতে পারবে। এক জায়গায় বদ্ধ থাকবে না। গরমের দিনে বাতাস বইলেও অনেক সময় তা আটকে থাকে। জানলা ঠিকভাবে খুললে সে সমস্যা আর থাকে না। গরমকালে সকালের দিকে আর সন্ধের দিকে এভাবে জানলা খুলে দিন। তাতে অনেকটা স্বস্তি মিলবে।
৩) গরমকালে ইলেকট্রনিক্স জিনিস সম্পর্কে সচেতন থাকুন। দরকার না লাগলে আলো জ্বালানোর প্রয়োজন নেই। এতে ঘরের হাওয়া গরম হয়। এমনকী কোনও ইলেকট্রনিক্স জিনিস শুধু অফ করে রাখারও প্রয়োজন নেই। যদি দরকার না লাগে তো একেবারে প্লাগ থেকে খুলে রাখুন।
৪) ঘর থেকে বাড়তি জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন। ঘর যত ঘিঞ্জি হবে, তত গরম বাড়বে। বরং ফাঁকা ঘরেই হাওয়া চলাচল ভাল হবে। গরমও কমবে। জানলার সামনে গাছপালা রাখলেও স্বাভাবিকভাবে খানিকটা ঠান্ডা থাকে।
৫) এছাড়া চালের বালিশও খুব কাজে দেয়। একটা ছোট্ট কাপড়ের প্যাকেট তৈরি করে তার মধ্যে সাধারণ চাল পুরে দিতে হবে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল চালের বালিশ। এবার এটিকে কয়েক ঘণ্টা রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। ঠান্ডা চাল অনেকক্ষণ শীতলতা ধরে রাখতে পারে। ফলে আরামদায়ক।
৬) গরমকালে এমন পর্দা ব্যবহার করুন, যার মাধ্যমে হাওয়া চলাচল করতে পারে। খসখসের ব্যবহার তো বহুল প্রচলিত। এছাড়া জানলার সামনে ভিজে কাপড় মেলে রাখলেও ঘর ঠাণ্ডা থাকে। ইজিপ্টের মানুষরা ব্ল্যাঙ্কেটের বদলে ভিজে কাপড় ব্যবহার করেন। সেটি আস্তে আস্তে শুকোতে থাকলে শরীরও ঠান্ডা থাকে।
৭) ইলেক্ট্রিসিটি ছাড়াই তৈরি করে ফেলুন এয়ার কুলার। লাগবে কটামাত্র প্লাস্টিকের বোতল। বোতলগুলি মাঝখান থেকে কেটে একটা শক্ত কার্ডবোর্ডে গেঁথে ফেলুন। এবার জানলার মাপে ওই বোর্ডটি এমভাবে ঝুলিয়ে দিন যাতে বোতলের কাটা অংশটি বাইরে থাকে। কীভাবে কাজ করে এটি? একটা ছোট্ট ব্যাপারেই তা বোঝা যাবে। ধরা যাক মুখ খুলে কেউ বাতাস ছাড়ছেন। তখন গরম বাতাস নির্গত হবে। এবার ঠোঁট সরু করে সেই বাতাস বের করলে তা অনেকটা ঠান্ডা হবে। একই পদ্ধতি কাজে লাগছে এখানেও। গরম বাতাস বোতলের মধ্য দিয়ে সরু অংশ যখন অতিক্রম করবে তখন অনেকটাই ঠান্ডা হবে। বাংলাদেশে উদ্ভাবন হয়েছে এই পদ্ধতি। দেখা যাচ্ছে, এতে অন্তত পাঁচ ডিগ্রি মতো উষ্ণতা কমছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.