সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংক্রিটের শহরে বাড়ি ঘরে সবুজের খানিক ছোঁয়া থাকলেও যেন শান্তি। পরশ লাগে মনে। ছাদ, ব্যালকনি, সিঁড়ির ল্যান্ডিং প্রভৃতি জায়গাগুলোয় রাখা গাছ-গাছালি অন্দর সজ্জায় বৈচিত্র আনতে পারে। বলতে পারেন, এই জায়গাগুলো গাছ-গাছালি রাখার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। চাইলে বাড়ির বাইরেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগাতে পারেন। তবে, অবশ্যই তার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকা দরকার। অনেকেই রয়েছেন যারা বাড়ির অন্দরসজ্জার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিন্ন ধরনের গাছ রাখেন। কিন্তু এই গাছ-গাছালি সাজানোর জন্য সবসময়েই যে চিরাচরিত টবের ব্যবহার করতে হবে তার কোনও মানেই নেই। এক্ষেত্রে টবে আনতে পারেন বৈচিত্র! কীভাবে? সেই টিপস রইল এখানে।
টবে বৈচিত্র্য আনার কথা শুনে অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন, মাটির বা চিনামানটির টব ছাড়া আর কী নতুনত্ব হতে পারে? তাহলে বলব, সেরামিক, কাঠে খোদাই করা, মেটালের কিংবা কাঁচের টব দেখতেই পারেন। বাজারে হরেক রকমের টব পাওয়া যায় এই মেটেরিয়ালের উপর। সেগুলো কিনে এনে ঘর সাজানোর গাছ লাগিয়ে দিন।
[আরও পড়ুন: মেঝে পরিষ্কার করতে ঝক্কি? জেনে নিন ঝকঝকে রাখার সহজ উপায়]
এমন অনেক গাছ আছে, যেগুলো ছোট টবে লাগালেও কোনও অসুবিধে হয় না। আবার কিছু গাছের ডালপালা এবং শিকর-বাকর বিস্তারের জন্য একটু বড় জায়গার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে গোল, চারকোণা, গামলা আকার, ঝুড়ি আকার, মটকা বা বোল ব্যবহার করা যেতেই পারে।
সবসময় যে বাজার থেকেই কিনতে হবে, তার কোনও মানে নেই। বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন আপনার অন্দরসজ্জার জন্য পছন্দমতো টব। বাড়িতে এরকম অনেক অব্যবহার্য জিনিসপত্র পড়ে থাকে। না সেগুলি হোমে লাগে না যজ্ঞে! অনেকেই সেগুলো ফেলে দেন। তবে এবার থেকে ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান এগুলোকেই। ইংরেজিতে যাকে বলে রিসাইকেল বা পুনর্নবীকরণ।
[আরও পড়ুন: বাহার যখন পাতায়, অন্দর-বাহির সাজানো থাকুক সবুজের আভায়]
ট্রাঙ্ক বা স্যুটকেস অনেকেই ব্যবহার করেন না এখন। বাড়িতে প্রচুর আচারের বয়ম বা পানীয়ের বোতল পড়েই থাকে। এছাড়াও পিতলের হাঁড়ি বা বাসন, মগ পড়ে থাকে, সেগুলো আর ব্যবহার করা হয় না। এগুলোতেই লাগিয়ে নিন গাছ। রেখে দিন ব্যালকনি, সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে। পুরনো বুট কিংবা জুতো থাকলেও দিব্যি চলবে। তবে বুট বা জুতোতে গাছ লাগালে সেগুলো হয় বাড়ির বাইরে কিংবা ব্যালকনিতে লাগান। কাচের জায়গা হলে সেটাতে পছন্দমাফিক রং করে নিন। বাচ্চা বড় হয়ে গেলে তাঁর স্নানের টাবটাও আর কাজে লাগে না। অবহেলায় পড়ে থাকে, সেটাতেও একটু সার প্রয়োগ করা মাটি পরিপাটি করে সাজিয়ে নানা রঙের ফুল গাছ লাগান।
এক্ষেত্রে দেখবেন যেন সেই গাছ শেডের ভিতর থাকলেও যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো পায়। গাছে প্রত্যেকদিন জল দেওয়াটা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন টবে জল দাঁড়িয়ে না থাকে। তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততা অনেকটাই বেড়েছে। তাই বেছে বেছে এমন গাছ লাগান যেগুলো খুব বেশি যত্নের প্রযেজন না হয়। নানা রঙের ফুল কিংবা ছোট ছোট ফল গাছ লাগানো যেতেই পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.