ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমদানি আঠান্নি খরচা রূপাইয়া’, মধ্যবিত্ত বাঙালির অনেকেরই এমন দশা। কোনও না কোনও কারণে টাকা শেষ হয়েই যান। মাসের শেষে পকেট খালি। জমানোর হাজার চেষ্টা করেও লাভ বিশেষ হয় না। কিন্তু তা করলে হবে কি? হালফিলের দুনিয়ার সঞ্চয় অতি আবশ্যক। যা আয় হয়, তাতেই সঞ্চয়ের উপায় বের করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কয়েকটি অভ্যাস দারুণ কাজে দেবে।
অনেকে সস্তার জিনিস কিনে সেখান থেকে কিছু অর্থ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা!’ কম দামের সব জিনিস টেকসই হয় না। অগত্যা নতুন করে টাকা খরচ করে নতুন জিনিস কেনা। এবার ভাবুন, আর একটু বেশি টাকা দিয়ে যদি ভালো জিনিসটি কিনতেন তাহলে দ্বিতীয়বার কেনার ঝক্কি যেমন থাকত না, তেমনই টাকাও বাঁচত অনেকটা। তাই ভেবে-চিন্তে খরচ করুন। টাকা বাঁচানোর চক্করে হিতে বিপরীত না হয়।
সংসারে নানা কাজ থাকে। যার জন্য প্রায়ই আমরা অন্যের উপর নির্ভর করে থাকি। এই যেমন, সামান্য জলের কলে ফাটল কিংবা লাইটের তার বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো কাজের জন্য লোক ডাকতে হয়। এসব ছোটখাটো কাজ নিজের কিছুটা জানা থাকলে টাকা বাঁচতে পারবেন।
বাজারে বেরোলে বুঝে-সুঝে খরচ করুন। হিসেব করে নিন কোন জিনিসগুলি না কিনলেও চলবে। এমন অনেক জিনিসই কেনা হয়ে যায়, যা বাড়িতে আনার পর পড়েই থাকে। একবার এমনটা হলে পরেরবার আর এই ভুল নিশ্চয়ই করবেন না। আর তাতেই সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে।
অর্থ উপার্জন করবেন, অথচ জীবনকে একটু উপভোগ করবেন না, তাও কি হয়? বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করা বা ঘুরতে যাওয়া সবই চলুক। কার্পণ্যের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যা করবেন পরিকল্পনা করে করুন। যেমন ধরুন বন্ধু বা পার্টনারের সঙ্গে দামী কোনও রেস্তরাঁয় গিয়ে একগুচ্ছ অর্থ খরচ না করে বাড়িতেই বাইরের খাবার কিনে পার্টির আয়োজন করে ফেলুন। এতে নিঃসন্দেহে আনন্দও দ্বিগুণ হবে। একইভাবে ঘুরতে গেলে যদি কোনও গ্রুপের সঙ্গে যান, তাহলে অনায়াসেই খরচ ভাগ হয়ে যায়।
ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে প্রতিটি লেনদেনে নজর রাখুন। মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ই-মেলের মাধ্যমে সমস্ত স্টেটমেন্ট বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন। যাতে পরবর্তী খরচের একটা হিসেব করে নিতে পারবেন অনায়াসেই। কিন্তু নিয়মিত অ্যাকাউন্টে নজর না রাখলে খরচের হিসেব রাখাই কঠিন হয়ে যায়।
টানা কাজ করার পর সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে আর রান্নাবান্না করার ইচ্ছে নাই করতে পারে। সেক্ষেত্রে দু’দিনের রান্না একেবারে করে রাখতে পারেন। তাহলে আর আলাদা করে বাইরে থেকে আনা খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না। এতে শরীর ও পকেট দুইই সুস্থ থাকে।
ব্যাঙ্কে রেকারিং কিংবা পোস্ট অফিসে এমআইএস-এর মাধ্যমে অল্প অল্প করে সঞ্চয় করুন। বছর ঘুরলে সেই সঞ্চয়ের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। কোন স্কিমে অর্থ রাখলে তা ফলপ্রসূ হয় আগে বিস্তারিত জেনে নিন। তার পর ‘ফোর্স সেভিং’ করে ফেলুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.