ধীমান রায়, কাটোয়া: দীপাবলি উৎসবে প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালানোর প্রথা আবহমানকালের। শরতের হিমেল আবহাওয়া ও রাতের অন্ধকারে গৃহস্থবাড়ি আলোকিত করে তোলা হয় মোমবাতি বা প্রদীপের আলোয়। পরিবারের মঙ্গল কামনায় মেনে চলা হয় এই শাস্ত্রীয় প্রথা। তবে হরেক রঙের ও ডিজাইন করা মোমবাতি এবার দীপাবলি উৎসবে যোগ করে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। দীপাবলি উৎসবে তাই এখন ভ্যালেনটাইনস ডে-র ছোঁয়া। বিভিন্ন মডেলের মোমবাতি হয়ে উঠেছে প্রেম নিবেদনের মাধ্যম। কাটোয়ার বাজারে দেদার বিকোচ্ছে ডিজাইন করা মোমবাতি। টিনএজারদের কাছে কার্যত হয়ে উঠেছে হট কেক। নতুন চেহারার মোমবাতি উপহার হিসাবে একে অপরের হাতে তুলে দিচ্ছে প্রেমিক-প্রেমিকারা।
[ দেড় কোটি টাকার গয়নায় সেজে ওঠেন নৈহাটির ‘বড়মা’ ]
কাটোয়া শহরের বেশ কয়েকটি দোকানেই এবছর আনা হয়েছে রংবেরঙের ডিজাইন করা মোমবাতি। কোনওটাতে রয়েছে ভালবাসার চিহ্ন, কোনওটা আবার তৈরি হয়েছে গোলাপ ফুলের আদলে। তার সঙ্গে আরও কিছু আকর্ষণীয় ডিজাইনের মোমবাতি। বস্তুত রং-বেরঙের মোমবাতি ব্যবহারের চল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এমন ডিজাইনের মোমবাতি বাজারে আসতেই সারা ফেলেছে টিনএজারদের মধ্যে। কাটোয়া শহরের স্টেশনারি ব্যবসায়ী অলোক দত্ত বলেন, এই ডিজাইন করা মোমবাতি ন্যুনতম দাম ৩০ টাকা, সর্বোচ্চ ২০০ টাকারও পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে টিনএজাররা বেশি কিনছে এই মোমবাতি। তারা দীপাবলির উপহার হিসাবে পছন্দের মানুষদের দিচ্ছেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কাটোয়া শহরের আরও বেশ কিছু দোকানে এবছর ডিজাইন মোমবাতি বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন চেহারার মোমবাতি অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বাচ্চাদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই মোমবাতি। কিছু কিছু মোমবাতি খেলনার আদলে ডিজাইন করা। দামও বেশ ভালো। তবে উৎসবের আবহে দামের পরোয়া না করেই ক্রেতারা কিনছেন হরেক মডেলের মোমবাতি।
[ ভূত চতুর্দশীর রাতে আসানসোলের এই গাছে ঘটে অবিশ্বাস্য ঘটনা! ]
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.