সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন। শুয়ে বসে শরীরও লক হয়ে যাচ্ছে? নাকি ‘মন ডাউন’? বেরোতে না পারায় ‘মন খারাপের দিস্তা’? আর এই মন খারাপের জন্যই কি লাটে উঠেছে শরীরচর্চা? কিন্তু শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না। ফিটনেসে নাকি সারবে করোনা। এমনটাই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ডে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় এই ফিটনেস ফাইটিং ফান্ডা। এই ফিটনেস ফান্ডার নাম জুম্বা ডান্স। এই ডান্স নাকি ইমিউনিটি বাড়ায়। ফুসফুসকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এমনটা বলছেন ফুসফুস বিশেষজ্ঞরাও। দুই বাঙালি ফিটনেস প্রফেশনাল পিউ মজুমদার এবং মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়
দেশ-বিদেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে চালিয়ে যাচ্ছেন এই ফিটনেস ট্রেনিং। তাঁরা দুজনেই ফিটনেস এবং জুম্বা প্রশিক্ষক। যে দেশগুলো করোনা সংক্রমণের হার বেশি মৈনাক এবং পিউ জোর দিচ্ছেন সেই দেশগুলিকেই।
তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে অনলাইনে। চলছে ফেসবুক কনসার্ট। যেখানে যা ভুল হবে প্রশিক্ষণ দেবেন এই দুই বাঙালি প্রশিক্ষক। ‘দ্য ডেন ফিটনেস স্টুডিও’র সোশ্যাল সাইট থেকে চলছে এই প্রশিক্ষণ। করোনা সংক্রমণের হার ঠেকাতে পিউ-মৈনাকের এই উদ্যোগ। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে পিউ ও মৈনাক একটি ফিটনেসের ওপর প্রতিযোগিতাও করতে চান। যেখানে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারেন। যাঁরা আগে কখনও শারীরিক চর্চা করেননি তাঁদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে অংশগ্রহণ করাতে চান বাঙালি দুই প্রশিক্ষক।
রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জন ডক্টর সতীশ সাউ জানিয়েছেন, ‘ডিপ্রেশন কিন্তু করোনার একটা কারণ। ডিপ্রেশন কাটাতে চাই মোটিভেশন এবং এক্সারসাইজ। প্রতিদিন জুম্বা এবং ফিটনেস এক্সারসাইজ করলে মস্তিষ্ক থেকে দেহে ছাড়াবে সেরাটুল এবং ইন্ডোফিল নামক কেমিক্যাল। যা ডিপ্রেশন দূর করে সুগার কন্ট্রোল করে ব্লাড প্রেসারকে কন্ট্রোল করে। জুম্বা শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রিলিজ করে যা ফুসফুসের জন্য ভাল। বিশেষত ডায়াবেটিক পেশেন্টকে অনেকটাই সুস্থ রাখে জুম্মা। ইমিউনিটি বাড়ায়।’
লকডাউনের পর কবে জিম খুলবে তা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় জিম কর্তারা। এই টানাপোড়নের মাঝখানেই তাঁদের সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে মৈনাক এবং পিউ চালিয়ে যাচ্ছেন সুস্থ রাখার ফান্ডা। ‘দ্য ডেন ফিটনেস স্টুডিও’র কর্ণধার মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘জিম খুললে সরকারি নিয়ম মেনে জিম চালাব। কিন্তু আমি মনে করি সুস্থতা প্রয়োজন সবসময়। তার জন্যই আমাদের এই অনলাইন প্রশিক্ষণ। বিদেশের মানুষরা শরীর নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। কিন্তপ আমরা এখনও সচেতন নই। তাই করোনা যুদ্ধে সবার সুস্থতার কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের সোশ্যাল সাইট মাধ্যমে বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। আগে এটা আমাদের পেশা হলেও এখন এটা আমাদের নেশা। শারীর চর্চার কোনও বয়স হয় না। সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ততার মাঝেও অন্তত নিয়মিত ৩০ মিনিট শারীরিক চর্চা সকলের প্রয়োজন এখন। জিম যতদিন না খুলছে ততদিন জুম্বা এবং অন্যান্য একসারসাইজের মাধ্যমে শরীরচর্চা বাড়ি থেকে আপনারা চালিয়ে যেতে পারেন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.