Advertisement
Advertisement

Breaking News

যোগব্যায়াম

যোগ-জাদুতে গায়েব কিডনির সমস্যা, নেফ্রোলজিস্টের প্রেসক্রিপশনে প্রাণায়ামও

যোগ, প্রাণায়ামেই কমেছে ক্রিয়েটিনিন৷

Yoga and Pranayam both lead to decrease the creatinin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 21, 2019 5:21 pm
  • Updated:June 21, 2019 5:21 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: এক বছর আগে বেলঘরিয়ার মৌসুমী চক্রবর্তীর ক্রিয়েটিনিন ছিল ৬। আর এখন ০.৯। সাড়ে পাঁচ মাস আগে পঞ্চসায়রের আশিসকান্তি দত্ত রায়ের ক্রিয়েটিনিন ছিল ৩.৩৫। এখন নেমে গিয়েছে ২.১৫এ।কৈখালির অশেষ মুখোপাধ্যায়েরও ক্রিয়েটিনিন
কমেছে। আগে ছিল ১০.৩, এখন ১.৫।

                                   [আরও পড়ুন: কসরৎ নয়, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই মেদ ঝরানোর উপায় হাতের নাগালেই]

Advertisement

ক্রিয়েটিনিন হ্রাসের পাশাপাশি এই তিনজনের মধ্যে আরও একটি অদ্ভুত মিল রয়েছে। এঁদের প্রত্যেকের প্রেসক্রিপশনে ওষুধের সঙ্গে
ছিল, যোগব্যায়াম ও প্রাণায়ম। আর এই যোগথেরাপির যোগেই নাকি ক্রিয়েটিনিন এতটা কমেছে। ওষুধও কম খেতে হয়েছে। এমনই দাবি
করলেন নেফ্রোলজিস্ট ডা. প্রতিম সেনগুপ্ত। জানালেন, “তিনজনই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। এখন শাপমুক্তির সরণি দিয়ে হাঁটছেন।
যোগথেরাপির জন্যই এই দ্রুত সেরে উঠছেন ওঁরা।”
শুধু ক্রিয়েটিনিন কমাই নয়, যোগ ও প্রাণায়ামের জাদুতে অনেকেরই প্রেশারের ওষুধের ডোজ কমেছে। কারও আবার বন্ধই করে দেওয়া
হয়েছে। প্রতিমবাবুর সহযোগী যোগ প্রশিক্ষক শুভব্রত ভট্টাচার্য জানালেন, শহরের প্রথম সারির একজন নেফ্রোলজিস্ট হয়েও
প্রতিমবাবু যেভাবে রোগীদের যোগথেরাপি করাচ্ছেন তা অতুলনীয়। অন্য চিকিৎসকদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। আজ আন্তর্জাতিক যোগা দিবস। কলকাতা তথা বাংলাজুড়েই পালিত হয় দিনটি। পশ্চিমবঙ্গ যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিল উল্টোডাঙা হাডকো মোড়ের কাছে কালিকাপ্রসাদ মুক্ত মঞ্চে যোগ দিবস পালন করেছে। ৩০ জন যোগ চিকিৎসক ও ৬০ সহকারী সেখানে যোগথেরাপির কথা বলেন সাধারণের দরবারে। তাঁরা বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদকের মাধ্যমে এই থেরাপি গ্রহণের সুযোগ নিতে পারেন। কাউন্সিলের সভাপতি ডা. তুষার শীলের কথায়, ‘যোগের প্রচার ও প্রসারে প্রতিমবাবুর মতো মানুষের খুব প্রয়োজন। সব যোগব্যয়াম সবার জন্য নয়। রোগ অনুযায়ী হওয়া উচিত যোগ।’

 [আরও পড়ুন:অ্যালার্জি চুলকে অস্থির? সমাধানের পথ বাতলালেন বিশেষজ্ঞরা]

যোগদিবসে আরেক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন সমাজসেবী অমিত রায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে যোগা চার্ট বিলি করেন গড়িয়াহাট মোড়ে। কোন যোগে কী রোগ সারবে, তার উল্লেখ রয়েছে চার্টে। সহযোগিতায় স্বাতী মুখোপাধ্যায়। অমিতবাবু জানালেন, ‘যোগবিজ্ঞান কয়েক হাজার বছরের পুরনো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিয়মিত যোগব্যয়াম করেন। আমাদের সমাজের শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে দিতে হবে এই বিজ্ঞানকে।’
যোগের উপকারিতা অনেক আগেই প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে ছড়িয়ে পড়েছে৷ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যোগের মাধ্যমেই নানাভাবে
রোগমুক্তির উপায় খুঁজে বের করেছেন৷ কিন্তু যে দেশ থেকে এই যোগের উৎপত্তি, সেখানেই এতটা চর্চা নেই৷ তাই আজকের দিনে ভারতের যোগচর্চার গুরুত্ব এবং প্রসারই মুখ্য আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement