সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : মহিলাদের জন্য সুখবর। দীর্ঘ দড়ি টানাটানি ও আলোচনা সমালোচনার পর এবার জিএসটির কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন। গণ বিরোধিতার মুখে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। মহিলাদের অতি-প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিনে ধার্য ১২ শতাংশ জিএসটি। গত এক বছরে জিএসটি কাউন্সিলকে বারবার বিষয়টি নিয়ে তীর্যক মন্তব্য ও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। বিশেষ পর্যবেক্ষক দল বৈঠকও করেছে। শেষপর্যন্ত সবদিক বিবেচনা করে জনসমীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। সেই সমীক্ষা রিপোর্টে বৃহদাংশ জিএসটি-হীন স্যানিটারি ন্যাপকিনের পক্ষে রায় দিয়েছে। সেই রায়ের ভিত্তিতেই স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপরে গত বছরে লাগু হওয়া ১২ শতাংশ জিএসটি তুলে নিচ্ছে কাউন্সিল। শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী সুধীর মুগান্তিওয়ার।
এদিন অনলাইনেই সমীক্ষার আয়োজন করে কাউন্সিল। সেখানে সাত হাজার সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। মূলত ভোটের বিষয়বস্তু ছিল, স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপরে জিএসটি থাকবে কিনা তা নিয়ে সাধারণ মানুষ কী ভাবছে? সরকারেরই বা কী করা উচিত? এর উত্তরে ৪৮ শতাংশ ইউজারের দাবি স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপরে লাগু হওয়া জিএসটি তুলে নিক সরকার। ১৪ শতাংশের দাবি বর্তমানে যা জিএসটি রয়েছে তা থাকতে পারে। ২৮ শতাংশের দাবি জিএসটি পাঁচ শতাংশে বেঁধে দেওয়া হোক। বাকি ১০ শতাংশ কোনও মতামতে পৌঁছাতে পারেননি। সবমিলিয়ে সাত হাজার ইউজারের সাড়া পেয়েছে কাউন্সিল।
[ ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বাড়িতেই রয়েছে সহজ উপায় ]
এদিকে স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে পিঠ বাঁচাতে সরকারের সাফাই ছিল, জিএসটির আগে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ট্যাক্স অনেক বেশি ছিল। বেশকিছু গোপন ট্যাক্স কাটা হত। জিএসটিতে তা নেই। এমনকী, ১৩ শতাংশ ট্যাক্স কমিয়ে ১২-তে আনা হয়েছে। এরপরে মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রস্তুতকারক দেশীয় সংস্থাগুলি জিএসটি রেট কমানোর আরজি জানায়। তাদের দাবি, চিনা সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে ওটা সম্ভব নয়। জিএসটি রেট বাড়ায় তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। বেশ কিছুদিন আগে জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার তরফে একটি সমীক্ষাও করা হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, অনটনের কারণে দেশের প্রায় ৬২ শতাংশ মহিলা এখনও ন্যাপকিনের বদলে কাপড়ই ব্যবহার করে থাকেন। তাঁদের বয়স ১৫-২৪-এর মধ্যে। গড়ে মোটামুটি গ্রামের ৪৮ শতাংশ মহিলা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। যেখানে শহরের ৭৮ শতাংশ মহিলা স্যানিটারি ন্যাপকিন ছাড়া ভাবতেই পারেন না। এখন একটাই প্রশ্ন জিএসটি উঠে গেলে কি ন্যাপকিন গ্রামীণ ভারতে ব্যবহারকারী মহিলার সংখ্যা বাড়বে? বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাকিটা সময় বলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.