Advertisement
Advertisement

Breaking News

NeoCov

ইউহানে ফের আতঙ্ক! খোঁজ মিলল করোনার সবচেয়ে ভয়ংকর ‘নিওকভ’ স্ট্রেনের

প্রতি তিনজন সংক্রমিতের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় এই নতুন স্ট্রেনের হানায়!

Wuhan scientists warn of deadlier Covid variant NeoCov | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 28, 2022 4:07 pm
  • Updated:January 28, 2022 4:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) আঁতুড়ঘরে ফের আতঙ্ক। এবার এই মারণ ভাইরাসের আরও বিপজ্জনক স্ট্রেনের খোঁজ দিলেন চিনের ইউহান শহরের গবেষকরা। ইউহানের বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘নিওকভ’ নামের নয়া করোনার স্ট্রেনের হদিশ পেয়েছেন। যা কিনা আগের সব স্ট্রেনের থেকে বিপজ্জনক এবং সংক্রামক।

Wuhan scientists warn of deadlier Covid variant NeoCov
ছবি: প্রতীকী

যদিও এই নিওকভ (NeoCoV) নতুন ভাইরাস নয়। এটা মিডল-ইস্ট রেসপিরেটারি সিনড্রোম বা MERS-CoV ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চোখে পড়ত। এই ভাইরাসটি সাধারণত মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায় না। মূলত, পশুপাখির শরীরেই এর সংক্রমণ দেখা যেত। প্রথমে এই ভাইরাসটি বাদুড়ের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। কিন্তু bioRxiv জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইউহানের গবেষকরা দাবি করেছেন, এই NeoCoV এবং এর ‘নিকটাত্মীয়’ PDF-2180-CoV মানুষের শরীরেও সংক্রমণ শুরু করেছে। বাদুড় থেকে উটের শরীর হয়ে এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরের সংক্রমিত হচ্ছে এই নিওকভ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ হিসাবে ব্যবহৃত হবে করোনার ন্যাজাল ভ্যাকসিন! ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিল DCGI]

ইউহান বিশ্ববিদ্যালয় (Wuhan University) এবং চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের গবেষকদের দাবি আর মাত্র একবার মিউটেশন হলেই এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। সমস্যা হল, এই ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমণ শুরু করলে করোনার কোনও অ্যান্টিবডি বা কোনও ভ্যাকসিন সেটাকে রুখতে পারবে না। চিনা বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই নতুন ভাইরাসের স্ট্রেনটির মধ্যে MERS-high CoV এর মারণ ক্ষমতা এবং এবং করোনার মতো সংক্রমণ ক্ষমতা থাকবে। যা এককথায় ভয়ংকর।

[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সাসপেন্ড হওয়া ১২ বিধায়কের স্বস্তি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খারিজ স্পিকারের নির্দেশ]

নতুন এই NeoCoV স্ট্রেনের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হল এর মারণক্ষমতা। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ভাইরাসে মৃত্যুহার ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি তিনজন সংক্রমিতের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। এর উপসর্গও করোনার সাধারণ উপসর্গের মতো। নতুন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলেও সাধারণ জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement