ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে আশঙ্কায় উঠে আসছে তৃতীয় ঢেউয়ের (Third wave of Covid-19) কথাও। যা নাকি কমবয়সিদের, বিশেষ করে শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে চলেছে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, কবে আসতে পারে মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ? বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সম্ভবত বছরের শেষদিকে শীতকালেই ফের ভয়াবহ হয়ে উঠবে সংক্রমণ।
ঠিক কী বলছেন তাঁরা? কর্ণাটকের জাতীয় কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের পরামর্শদাতা ও বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ’-এর অধ্যাপক ড. গিরিধর বাবু জানাচ্ছেন, ‘‘শীতকালে, বলতে গেলে নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের শুরুর মধ্যেই আসতে পারে তৃতীয় ঢেউ। তাই দেওয়ালির আগে ঝুঁকিবহুল ব্যক্তিদের টিকাকরণ হয়ে যাওয়া দরকার। তাহলে অনেক প্রাণকেই রক্ষা করা সম্ভব।’’
কোন কোন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাদুর্ভাব? তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। কতজনকে টিকা দেওয়া হল, ‘সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট’গুলিকে আটকাতে পারা গেল কিনা ও কত দ্রুত নয়া স্ট্রেনগুলিকে আমরা চিহ্নিত করতে পারলাম সেগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
আরেক অধ্যাপক এম বিদ্যাসাগরের মতে, ‘‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বহু মানুষই আছেন, যাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু যেহেতু লক্ষণহীন, তাই ধরা পড়েনি। ফলে নিজের অজান্তেই এই বিপুল সংখ্যাক মানুষও ‘ইমিউন’ হয়ে গিয়েছেন। আগামী অন্তত ৬ মাস তাঁদের এই প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে। কিন্তু তারপর থেকে তাঁরা ফের সেই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। ফলে ওই সময়ের মধ্যেই টিকাকরণের হার বাড়িয়ে ফেলতে হবে। যাতে ওই সব ব্যক্তিরও টিকা নেওয়া হয়ে যায়।’’
আশার বাণীই শোনাচ্ছেন তিনি। তাঁর মতে, যদি আগামী ৬ মাসের মধ্যে টিকাকরণের (Vaccination) গতি বাড়িয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষকে টিকা দিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে হয়তো তৃতীয় ঢেউ এলেও তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো বিপজ্জনক ও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.